ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩

ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
নিউজটি শেয়ার করুন

 

যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো. আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেয়া কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

 

 

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 

অসুস্থ মো. আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেয়ার ঘটনার রোববার (০৩ ডিসেম্বর) বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন আদালত।

 

এর আগে ২৯ নভেম্বর সকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

 

 

এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলী হাইকোর্টকে বলেন, মাই লর্ড, ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে ১০০টা কেস থাকুক, তাতে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে, এটা কেমন কথা! ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে আনা হবে, স্বাধীন দেশে এগুলো কেন করা হবে? আপনি একটি স্বপ্রণোদিত আদেশ দেন।

 

ওই সময় হাইকোর্ট বলেন, এগুলো তো সেটেল হয়ে গেছে। ৫৪ ধারা সেটেল হয়ে গেছে। তারপরও হচ্ছে। এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাদের এটার সমাধান বের করতে হবে। আমরা কী থার্ড ক্লাস সিটিজেন? পরে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা রিট আকারে আসুন। আমরা সুয়োমুটো কোনো আদেশ দেব না।

 

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে, চারটি মামলা করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে তাকে গ্রেফতার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

 

 

এরপর কারাগারে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলে তাকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

 

 

সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এ সময়ও তার পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের ঠিকমতো দেখা করতেও দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ