সংসদ নির্বাচন: মাঠে থাকবে ১ লাখ ৮৯ হাজার পুলিশ

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

সংসদ নির্বাচন: মাঠে থাকবে ১ লাখ ৮৯ হাজার পুলিশ
নিউজটি শেয়ার করুন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে করার লক্ষ্যে সারা দেশে ১ লাখ ৮৯ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম ও ম্যাজিস্ট্রের সঙ্গে থাকবে পুলিশ সদস্য।শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি- অপারেশন) আনোয়ার হোসেন।

 

 

 

তিনি বলেন, পুলিশ নির্বাচনি এলাকা থেকে যেকোনো অভিযোগ পেলে, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে। পুলিশের কাছে সব প্রার্থীই সমান। প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সব প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পান, সে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

 

 

 

জামিন পাওয়া আসামিদের বিষয়ে পুলিশের বিশেষ নজরদারি অব্যাহত আছে। নির্বাচনি এলাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো অভিযোগ পেলে, সেগুলোর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে। কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসাররা যেভাবে নিরাপত্তা নির্দেশনা দেবেন, পুলিশ সেভাবে কাজ করবে।

 

 

 

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র সম্পর্কে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন থাকবে। কোনো কোনো দুর্গম এলাকার কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলোতে পুলিশের বাড়তি ফোর্স থাকবে। পুলিশ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

 

 

যেকোনো ঘটনার পরই মামলা হচ্ছে। পুলিশ সেসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কোনো ছাড় দিচ্ছে না। পুলিশ পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশের কোনো কর্মকর্তার নিরপেক্ষতা হারানোর অভিযোগ আসলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বদলি বা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

 

 

 

আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি পক্ষ রেলে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতা করছে। রেল পুলিশের মাধ্যমে রেলের নিরাপত্তায় বিভিন্ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইপি ক্যমেরা বসানো হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজনীতি করা অপরাধ নয়। তবে, কেউ যদি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যানবাহনে আগুন দেয়, ভাঙচুর করে, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, তাহলে নির্দিষ্ট মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

 

 

 

বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী পক্ষের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ তথ্য ঠিক কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগে সারা দেশে গড়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের পদধারী সংখ্যা কত, তার হিসাব আমাদের কাছে নেই। সারা দেশ থেকে তথ্য নিয়ে সে হিসাব তৈরির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

 

 

 

নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণে বাধা দেওয়া হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে কি না বা ভোট দেবে কি না, সে অধিকার ভোটারের রয়েছে। কিন্তু, ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে আমাদের বিশেষ অভিযান চলমান। বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও বহন নিষিদ্ধ করে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। নির্বাচনকালে কেউ বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন বা বহন করতে পারবেন না।

 

 

 

অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো আসামি জামিনে বেরিয়ে আসলে, সে নতুন করে অপরাধে না জড়ালে, তাকে গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই। জামিন পাওয়া আসামিদের বিষয়ে পুলিশের বিশেষ নজরদারি অব্যাহত আছে। তারা কোনো অপরাধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ