আগৈলঝাড়ায় স্ত্রীর মারধরে হাসপাতালে ভর্তি স্বামী

প্রকাশিত: ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২৪

আগৈলঝাড়ায় স্ত্রীর মারধরে হাসপাতালে ভর্তি স্বামী
নিউজটি শেয়ার করুন

 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার স্বামীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। স্বামী আশীষ হালদার অভিযোগ করেছেন, স্ত্রী সীমা তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন।

 

 

 

স্থানীয় ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের তালতারমাঠ গ্রামের সুধীর হালদারের ছেলে পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার কালারবাড়ী গ্রামের শখা নাথ হালদারের মেয়ে সীমা রানী হালদারকে আড়াই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। ঢাকায় তাঁদের বিয়ে হয়। আড়াই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হলেও তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি বলে দাবি আশীষ হালদারের।

 

 

 

আশীষ হালদার বলেন, বিয়ের পর থেকেই সীমা হালদার বিভিন্ন সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন। গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে আশীষ হালদার ঢাকা থেকে এসে রাতে ঘুমাতে একসঙ্গে ঘুমাতে যান। ঘনিষ্ঠ হতে চাইলে স্ত্রী আপত্তি জানান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে আশীষ হালদারের স্পর্শকাতর স্থানে লাথি মারেন এবং হাতের বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে গুরুতর আহত করেন সীমা। আশীষের চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

 

 

উপজেলা হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন আশীষ হালদার ঘটনার বর্ণনায় আরও বলেন, ‘আড়াই বছর পূর্বে বিয়ে হলেও আমাদের আজও কোনো দৈহিক সম্পর্ক হয়নি। আমার স্ত্রী আমরা সঙ্গে সংসার করবে না বলে ১০ লাখ টাকা দাবি করে আসছে।’

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীমা রানী হালদার ১০ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আশীষকে ঢাকায় বসে ৫ মিনিট দেখে বিয়ে করেছি। তাকে আমার পছন্দ হয়নি। সে ঢাকা থেকে এসেই আমার গায়ে হাত দিয়েছে। এ জন্য আমি তাকে লাথি মেরেছি।’


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ