চাখারে হত্যা মামলার আসামী টুকুর নেতৃত্বে হামলায় আ‌‌‍‍‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌.লীগ নেতা আহত

প্রকাশিত: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২১

চাখারে হত্যা মামলার আসামী টুকুর নেতৃত্বে হামলায় আ‌‌‍‍‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌.লীগ নেতা আহত
নিউজটি শেয়ার করুন

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাখারের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির হত্যা মামলার আসামী সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে

 

 

এ নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় সেখানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। রক্তপাত এড়াতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

 

 

জানা গেছে সদ্য অনুষ্ঠিত চাখার ইউপি নির্বাচনের সময় নৌকার প্রার্থী সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. মালেক হাওলাদারের কাছ থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চাবি নেন। ১৯ জুলাই সোমবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. মালেক হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মিলন ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুর কাছে চাবি চান। টুকু জনৈক আলমগীরের কাছ থেকে তাদের চাবি নিতে বললে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মিলন দলীয় কার্যালয়ের চাবি কেন বিএনপি কর্মী আলমগীরের কাছে রাখা হয়েছে তা টুকুর কাছে জানতে চান। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে টুকুর সমর্থক কালাম, তার ছেলে রনি, রিয়াজসহ কয়েকজন মিলনকে মারধর করে। গুরতর আহত অবস্থায় ওয়াহেদুজ্জামান মিলনকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

 

এদিকে মিলনের ওপর হামলার ঘটনায় তার সমর্থকরা চাখারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে সংঘর্ষ এড়াতে বানারীপাড়া থানার পুলিশ গিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

 

 

এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত চাখার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মিলন বলেন, দলীয় কার্যালয়ের চাবি চাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুর নেতৃত্বে চিহিৃত সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

 

 

এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চাবি আলমগীরের কাছ থেকে নিতে বলা নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে কালামকে ধাক্কা ও ঘুষি দেওয়ায় সে ও তার ছেলে রনি আওয়ামী লীগ নেতা মিলনকেও কিলঘুষি দেয়। যা তাৎক্ষনিক মিমাংসা করে তাদের মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

 

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চাখারের সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মিলনের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যারা শান্তির জনপদ চাখারকে আবারও সন্ত্রাসের জনপদে রূপান্তর করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

 

 

প্রসঙ্গত সদ্য অনুষ্ঠিত চাখার ইউপি নির্বাচনে চাখার কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জাসদ নেতা কবির হত্যা মামলার আসামীকে সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুকে নৌকা মার্কা দেওয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমর্থনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুজ্জামান মিলন। নির্বাচনের শেষ মুহুর্তে দলীয় প্রার্থী সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুকে সমর্থন দিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও দু’জনের মধ্যে মানসিক দূরত্ব দূর না হওয়ায় দ্বন্দ্ব রয়েই গেছে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ