ঢাকা ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
বরিশাল, নবকন্ঠ ডেস্ক :: যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ হয়ে থাকলে তা পরিবর্তন করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩-এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নীতিমালাটি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনে চারটি কারণ বা যৌক্তিকতাকে বিবেচনাযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
নীতিমালায় বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে বিবেচনাযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু, নেতিবাচক এবং শিশুমনে ও জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম দেশের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে নামকরণ হয়ে থাকলে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত আদালতের বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকলে এবং ভূমিকম্প, নদী ভাঙনসহ নানাবিধ কারণে বিদ্যালয়ের নামের দ্বৈততা বা জটিলতা দেখা দিলে তা পরিহারের জন্য নাম পরিবর্তন বিবেচ্য হবে।
বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে চার ধরণের নামকরণ করা যাবে জানিয়ে বলা হয়, শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তি বা বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করা যাবে। তবে ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় একই উপজেলা, থানা বা সিটি করপোরেশনের হতে হবে। তাদের নামে একটির বেশি বিদ্যালয়ের নামকরণ করা যাবে না। তবে এ ধরণের ব্যক্তির মধ্যে কেউ রাষ্ট্রবিরোধী, ফৌজদারি, দেওয়ানি ও দুর্নীতির অপরাধে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত হলে তাদের নামে বিদ্যালয়ের নামকরণ করতে হলে আদালত থেকে খালাসপ্রাপ্ত হতে হবে।
এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে এলাকার নাম অনুসারেও বিদ্যালয়ের নামকরণ করা যাবে। স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা সাপেক্ষে নাম পরিবর্তন বা নতুন নামকরণ করা যাবে বলে জানানো হয়।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক