বরগুনায় স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী

প্রকাশিত: ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২৩

বরগুনায় স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী
নিউজটি শেয়ার করুন

 

নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশাল:: বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার (০৩ এপ্রিল) রাতের এ ঘটনায় ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) বিকেলে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

 

 

ওই গৃহবধূর নাম শাহিদা আক্তার (২৮)। তিনি আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের হারুন অর রশিদ চৌকিদারের স্ত্রী। শাহিদা কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার বাটিয়াভিটা গ্রামের আব্দুল কাদের চৌকিদারের মেয়ে। নিহতের স্বজনদের দাবি, শাহিদাকে খুনের পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

 

 

শাহিদার স্বজনরা জানান, ২০০৮ সালে আমতলী উপজেলার হারুন অর রশিদ চৌকিদারের সঙ্গে শাহিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শাহিদাকে হারুন নানা অজুহাতে নির্যাতন করত। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে হারুন প্রথম স্ত্রী শাহিদাকে না জানিয়ে উপজেলার নীলগঞ্জ গ্রামের শানু মিয়ার মেয়ে নার্গিসকে বিয়ে করে। এ নিয়ে শাহিদার সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়।

 

হারুন তার দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিসকে মেনে নিতে শাহিদাকে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু শাহিদা এতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে হারুন। গত ২০ মার্চ হারুন দ্বিতীয় স্ত্রীকে তার বাড়ি নিয়ে আসে। এ নিয়ে শাহিদার সঙ্গে বিরোধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। পরে মঙ্গলবার পুলিশের কাছে শাহিদার মৃত্যুর খবর পায় স্বজনরা।

 

 

এ বিষয়ে শাহিদার বাবা আবদুল কাদের বলেন, ‘আমার মেয়েকে খুন করে প্রথমে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। পরে মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হারুন। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

 

 

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পেয়ে সোমবার রাতে শাহিদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহ তার বাবার বাড়ির স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ