দুমকিতে প্রবাসী কাওছারের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৩

দুমকিতে প্রবাসী কাওছারের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ
নিউজটি শেয়ার করুন

 

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে মাল্টা প্রবাসী কাওয়াসার আমীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে মানব পাচার এবং প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া অর্থ ফেরত চাওয়ায় মারধর করে উল্টো মিথ্যে মামলায় মাল্টা ফেরত যুবককে জেলে পাঠানোর অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের বাসিন্দা মাল্টা ফেরত মো: সফিকুল ইসলামের স্ত্রী মো: উর্মী আক্তার গতকাল শনিবার প্রেসক্লাব, দুমকির হলরুমে আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন।

 

লিখিত বক্তব্যে উর্মি আক্তার অভিযোগ করেন, উপজেলার ৩নং মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৃত মো: ফজলু হাওলাদারের ছেলে মাল্টা প্রবাসি কাওছার আমিন হাওলাদার একজন চিহ্নিত আদম পাচারকারি। বিদেশে লোক পাঠানোর নামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে মাল্টায় সুরুচি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের ব্যবসার অন্তরালে আদম পাচারের প্রতারণা করে বেড়াচ্ছে। লোভনীয় কাজের প্রতিশ্রুতিতে গত ২০১৮সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪লক্ষ টাকা কন্ট্রাক্টে তার স্বামী জলিসা গ্রামের জনৈক গোলাম মোস্তফা জোমাদ্দারের ছেলে সফিকুল ইসলামকে নগদ ১০লাখ টাকা দিয়ে মাল্টা পাঠানো হয়। মাল্টায় প্রতিশ্রুত কাজ না দিয়ে বাকি টাকা আদায়ের জন্য তাকে (সফিক) মারধর ও নির্যাতন, পাসপোর্ট আটকে রেখে প্রতিমাসের বেতনেরও একটি অংশ সে (কাওছার) হাতিয়ে নেয়। এছাড়া তার মাধ্যমে দু‘বছর ২বছর আগে ১০ব্যক্তিকে বিদেশ পাঠাতে তাদের প্রত্যেকের পাসপোর্ট ও ২লক্ষ টাকা হিসেবে ২০লক্ষ টাকা নেয়। কিন্ত কাউকেই মাল্টায় পাঠায়নি।

 

 

নানা টালবাহানার পর টাকা ফেরত চাওয়ায় চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় সদর থানার লোহালিয়া কাওছারের শশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে স্বামি সফিককে আটকে বেদম মারধর করে। এঘটনায় দুমকি থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি, উল্টে কাওছার আমীনে পক্ষে স্বামি স্ত্রী দু‘জনকেই রাতভর থানায় আটকে রাখে। অপর দিকে মানবপাচারকারি কাওছার আমীনের মিথ্যে লুটপাটের মামলা ঋজু করে স্বামি সফিক ও দেবর কামরুল ইসলাম গ্রেফতার কোর্টে চালান করা হয়েছে।

 

 

 

উর্মি অভিযোগ করে বলেন, মানব পাচারের অবৈধ অর্থে থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে তাদের ফাঁসানো হয়েছে। অভিযুক্ত আদম পাচারকারি কাওছার আমিনের হাত থেকে বাঁচাতে ও প্রতারিত অর্থ ফেরত পেতে তিনি সংশ্লিষ্ট উর্ধতণ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

 

 

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম উভয় পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্তের ভিত্তিতে মামলা ঋজু ও অপরটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। নিয়মিত মামলায় আসামী গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ