এমসি কলেজে ধর্ষণ: আরও তিন আসামির দায় স্বীকার

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২০

এমসি কলেজে ধর্ষণ: আরও তিন আসামির দায় স্বীকার
নিউজটি শেয়ার করুন

 

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় আরও তিনজন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, আইনুল হোসেন ও মো. রাজন মিয়া।

 

শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তারা।

 

শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে রাজন, মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে আইনুল ও মহানগর হাকিম শারমিন খানম নীলার আদালতে রনি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশমনার অমূল কুমার চৌধুরী।

 

এর আগে শুক্রবার এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

 

এ নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া আট আসামির মধ্যে ছয়জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

শনিবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে রাজন, রনি ও আইনুলকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে শাহপরান থানা পুলিশ। সন্ধ্যায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

 

এদিকে, মামলার অপর দুই আসামি তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে শনিবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির করে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারা দুজনই পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। রবিবার তাদের আদালতে হাজির করা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা এক গৃহবধূকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় পরদিন শনিবার সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ছাত্রলীগ কর্মী

 

সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের

 

মাস্টর্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। এছাড়া অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

 


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ