ঢাকা ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২১
সৌদিয়া এয়ারলাইন্সে বিমানবালা হিসেবে তামিমা সুলতানা চাকরি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিশ্লেষণে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স থেকে চাকরি হারাতে যাচ্ছেন তামিমা।
যেহেতু, তিনি রাকিব হাসান নামের এক ব্যবসায়ীকে ডিভোর্স না দিয়েই ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে বিয়ে করেছেন, এই মর্মে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই ফৌজদারি মামলার প্রধান আসামি তামিমা সুলতানা। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে তদন্তাধীন রয়েছে।এ সংক্রান্তে সৌদিয়া এয়ার লাইন্সেকেও বিস্তারিত জানানো হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার বিভিন্ন ডকুমেন্ট রয়েছে।
সৌদিয়া এয়ারলাইন্সে দেয়া ডকুমেন্টে স্বামী হিসেবে রাকিবের নাম। ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বরের (সোমবার) সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিশেষ ডকুমেন্ট ‘দ্যা ক্রিমিনাল রেকর্ড’ বলছে অফিসিয়ালি তামিমার স্বামীর নাম রাকিব হাসান। ডকুমেন্ট তার নাম লেখা রয়েছে ‘TAMIMA SULTANA RAKIB HASAN’। এই ডকুমেন্টে তামিমার দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপও রয়েছে। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের হেড অফিস সৌদি আরবে হওয়া সেখানকার হেড অব রিক্রুটমেন্ট বরাবর গত ১০ মার্চ একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। চিঠিটি ইস্যু করেন মামলার বাদী রাকিব হাসানের আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। চিঠির সঙ্গে প্রয়োজনীয় ৩ টি ডকুমেন্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বামী হিসেবে রাকিব হাসানের নাম উল্লেখিত তামিমা সুলতানার পাসপোর্ট, ক্রিমিনাল রেকর্ড এবং এ সংক্রান্তে নিউজ কাটিং।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- আন্তর্জাতিক এভিয়েশন অঙ্গনে সুনামের সঙ্গে যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স। এই এয়ারলাইন্সটি তার কর্মীদের ক্রিমিনাল রেকর্ড যাচাই বাছাই করেই তার সেবা অব্যহত রেখেছে।
চিঠিতে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও উল্লেখ করা হয়, তামিমা সুলতানা ‘ব্যভিচার’, ‘মানহানি’ ও ‘প্রতারণায়’ অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং-২২৯)। এখানে নোট করার মতো বিষয়, উল্লেখিত মামলায় তামিমা সুলতার পাসপোর্টটি বিতর্কীত।
এমন পরিস্থিতিতে তামিমা সুলতানা যদি এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু হিসেবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন, তাহলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আদালতে উল্লেখিত মামলাটির ক্রিমিনাল ট্রায়াল এড়াতে তিনি দেশে ফিরে নাও আসতে পারেন। এমন অবস্থায় মামলাটির বিচার ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটতে পারে, যথাযথ বিচারকার্য সম্পন্ন করতে মামলাটি আটকে যেতে পারে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, আমার ক্লায়েন্ট (রাকিব হাসান) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে সৌদি এয়ারলাইন্স নৈতিক স্খলনজনিত ও অপরাধে জড়িত কাউকে তার কর্মী হিসেবে কোনো প্রকার সুবিধা প্রদান এবং বাংলাদেশ ত্যাগ করা সুযোগ তৈরি করে দেবে না।
চিঠিতে অনুরোধ করা হয়, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স যাতে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় এবং তামিমা সুলতানা যেনো কোনোভাবে মামলাটি নিষ্পত্তি হওয়ার আগে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে না পারে। পাশাপাশি সৌদিয়া এয়ারলাইন্স চাইলে তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে অন্য কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক