ঢাকা ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২২
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এশার নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। আর ফজরের নামাজের জামাতের গুরুত্ব তার চেয়েও বেশি। মানুষ সাধারণত এ দুই সময়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটায় ও বিশ্রাম করে। ফলে জামাতে শরিক হতে যথেষ্ট অবহেলা ও গাফিলতি হয়ে থাকে।
এ জন্য হাদিসে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। এশার নামাজ জামাতে আদায়ের সওয়াব ও ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এখানে পাঠকদের জানার জন্য কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
যে নামাজে অর্ধেক রাত ইবাদতের সওয়াব
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত (নফল) নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৭)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৫৬)
এশা জামাতে পড়লে মুনাফিকের তালিকা থেকে মুক্তি
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক ভারী কোনো নামাজ নেই। এ দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫৭)
উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (সা.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তারপর আরেকজনের নাম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তিনি বলেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব আছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে শরিক হতে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৫৫৪)
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক