শুভ জন্মদিন উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার নেত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০

শুভ জন্মদিন উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার নেত্রী শেখ হাসিনা
নিউজটি শেয়ার করুন

 

 

রাকিবুল আলম সৌরভ ।। এই দেশ যখন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত সেই সময়টাতে এক পিছিয়ে পড়া ও দুর্নীতির কষাঘাতে পিষ্ট এক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

 

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ শাসন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যেমন জননন্দিত, তেমনি গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। তাঁর শাসনামলে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য ও অর্থ বরাদ্দ এবং অন্যান্য বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছিল। দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলে তিনি দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্রের কষাঘাত থেকে মানুষকে রক্ষা করেছিলেন। নারীর ক্ষমতায়নে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসুচি এবং কর্মক্ষেত্রে নারী পুরুষের সম অধিকার, নারীদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা তার মধ্যে অন্যতম।

 

কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, কৃষি সামগ্রীর মূল্যহ্রাস এবং সহজ প্রাপ্যতাও ছিল বিরাট অবদান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথম সরকার মানুষের কাছে আস্থা ও ভরসা এনে দিয়েছিল। পরবর্তীতে কিভাবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে সেটা আমরা সবাই জানি। তারা পাঁচ বছরে লুটপাট ও দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের ইতিহাস গড়ে তোলে এবং তারপরও পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধীদলকে দমন করার জন্য বিভিন্ন জঘন্য পথ খূজে বের করে।

 

এরপরের ইতিহাস আমরা সবাই জানি যে কীভাবে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তত্ত্বাবাধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং তারা দুই বছর দেশ শোষন করে, রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতাদের কারারুদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাও কারারুদ্ধ হন এবং কারাগারে তার ওপর বিভিন্ন মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। সেই সময় তার পেছনে শুধুমাত্র দলীয় নেতা-কর্মী নয়, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সমগ্র দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে ছিলো। এর প্রমাণ এই দেশবাসী দেখেছে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে। মানুষ তাকে বিপুলভাবে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে।

 

২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়ে তোলার পাশাপাশি একুশ শতকের প্রযুক্তি উপযোগী হবার আহ্বান জানান। দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং তার সরকারের অধীনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও কর্মসংস্থান,নারী ক্ষমতায়ন,বিদ্যুৎ খাতে সক্ষমতাসহ ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়া ও দরিদ্র অনুন্নত দেশের মানুষের রোল মডেল। বর্তমান বিশ্বে যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, দেশে দেশে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকার সমস্যা জটিল হচ্ছে তখন তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি দেশে আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে নিয়ে এসেছেন নতুন এক উচ্চতায়। বিশেষ করে কৃষি খাতের উন্নয়নে তাঁর কোন বিকল্প আজও আমরা দেখতে পাই না। জাতীয় অর্থনীতি আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। দারিদ্রের হার অনেক কমে গিয়েছে। অনেক রকম সমস্যা আছে দেশে, তারপরও দেশের মানুষ ন্যূনতম শান্তি ও স্বস্তিতে জীবনযাপন করছে। এর প্রধান কারণ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি।

 

২০১৮ সালে টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসে তিনি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া তরুণ ও যুবকদের কাছে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছেন। আজ গ্রাম বাংলার প্রতিটা মানুষ জানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার চোখে আজ বাংলার মানুষ স্বপ্ন দেখতে শিখেছে এক উন্নত বাংলাদেশের। আজ এই দেশ এক স্বপ্নের দেশ, এদেশের দক্ষিন জনপদের মানুষের স্বপ্নের পদ্মাসেতু আজ আর কোনো কল্পনা নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত ও সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশের রুপকার একজন শেখ হাসিনা। আজ সমগ্র বিশ্বে শেখ হাসিনা একজন প্রভাবশালী রাষ্ট্রনায়ক। সারা বিশ্ব আজ জানে বাংলাদেশ কি পারে।

 

সমগ্র পৃথিবী যেখানে করোনা সংকটে টালমাটাল সেখানে দেশরত্ন শেখ হাসিনা তার বিচক্ষণ নেতৃত্ব দিয়ে মোকাবেলা করেছেন এই করোনা সংকট এবং একই সাথে একের পর এক প্রাকৃতিক দূর্যোগ। সমগ্র বাংলার প্রতিটি দরিদ্র অসহায় মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন খাবার সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী। এদেশের গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি মানুষ বুক ভরে দোয়া করেছেন তাদের শেখ সাহেবের কন্যার জন্য।

 

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে শেখ হাসিনা তার সততা, আত্মত্যাগ, বিচক্ষণতা ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। ২৮শে সেপ্টেম্বর এই মানুষটির ৭৪ তম জন্মদিনে সমগ্র দেশবাসী মহান আল্লাহর কাছে এই মানুষটির জন্য দোয়া কামনা করছি যেনো মহান আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু করেন এবং এই দেশের মানুষের পাশে থেকে সবসময় এমন অন্ধকারের আলোকবর্তিকা হয়ে আলো দিয়ে যেতে পারেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

 

লেখক : রাকিবুল আলম সৌরভ
সাবেক উপ-ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
সাবেক সহ-সভাপতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

 


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ