ঢাকা ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
বাংলাদেশের সংগীতে জীবন্ত কিংবদন্তি আলাউদ্দিন আলী। একাধারে তিনি গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। গত বছরের আজকের দিনটিতে তিনি ভর্তি ছিলেন ব্যাংককের স্যামিটিভেজ সুকুমভিত হাসপাতালে। ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন৷ আর আজ তিনি দৃষ্টির সীমানার ওপারে৷
বছর ঘুরে আবারও ২৪ ডিসেম্বর এলো৷ আলাউদ্দিন আলীর জন্মদিন৷ শ্রদ্ধা-সম্মানে তাকে স্মরণ করছেন ভক্ত-অনুরাগীরা৷
১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সংগীতে শিক্ষা নেন।
ওস্তাদ সাদেক আলী তাকে বেহালায় দীক্ষা দেন। এরপর বিভিন্ন চলচ্চিত্রে বেহালা বাজাতে গিয়ে সংগীত পরিচালনার উপর আগ্রহ সৃষ্টি হয় এই সংগীত পরিচালকের। ১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে জীবনে প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।
তারপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়মিত কাজ করলে একই বছর ‘সন্ধিক্ষণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম সিনেমাতে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি। এর আগে ১৯৬৮ সালের দিকে তিনি আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যন্ত্রসংগীত শিল্পী হয়ে কাজ করেন। এরপর প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সালে সংগীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। এ ছাড়াও তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৮০), কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য সংগীত পরিচালনা করেছেন।
গানের এই কিংবদন্তি দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে চলতি বছরের ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেছেন৷
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক