ঢাকা ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৬ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৩
নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশাল:: ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিপথের বাম দিকে অবস্থান হওয়ায় তাণ্ডবের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বরিশাল। তবে এর প্রভাবে জেলায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। দুপুর নাগাদ ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (১৪ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম।
তিনি জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত ও বরিশাল নদী বন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির অভিমূখ কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উপকূল হওয়ায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির তেমন সম্ভাবনা নেই। ঝড়টির প্রভাবে সকাল ৯টার দিকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ২৫/৩০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাসের সঙ্গে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারনত ঘূর্ণিঝড়ের ডানদিকে প্রবল শক্তি থাকায় ক্ষতির পরিমাণ ডানদিকে বেশি থাকে। সে তুলনায় বাম দিক নিরাপদ থাকে। বিভাগের ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ নদীর মধ্যে কোথাও পানি প্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি বলে বরিশাল পানি বিজ্ঞান উপবিভাগের জরিপে উঠে এসেছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে সবগুলো নদীর পানি বেড়েছে। তবে তা বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে না যাওয়ায় সকল রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশার আমিন উল আহসান জানিয়েছেন, বিভাগে ৩ হাজার ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৫টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬০৬ জন মানুষ ও ১২ লাখ ৪১ হাজার ৪৯০ গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তায় ২ হাজার ৭০৮ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য, নগদ ৫৯ লাখ ২০ হাজার ৮০৪ টাকা, কম্বল ২০ হাজার ৭শ পিস, টিন ৫৪৩ বান্ডেল, স্বেচ্ছাসেবক ৩৯ হাজার ৪২৫ জন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ৪৮টি ও মেডিকেল টিম ৩৫৭টি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ২০টি প্রস্তুত করা হয়েছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক