ঢাকা ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২২
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় গত ৭ মাসে ২০ জন নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। এদের মধ্যে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীই সংখ্যাই বেশি। এদের মধ্যে অধিকাংশই আত্মহত্যা করেছেন গলায় ফাঁস দিয়ে, বাকিরা বিষপান কিংবা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার এই সংখ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সচেতন মহল এই প্রবণতা রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।
মঠবাড়িয়া থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মাসের মধ্যে জুনে আত্মহত্যার কোনো ঘটনা না ঘটলেও এপ্রিলে ও মে মাসে আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত ১৭ জানুয়ারি উপজেলার শাঁখারীকাঠি গ্রামের মিলন জমাদ্দারের মেয়ে মিতু আক্তার (১৬), ২ ফেব্রুয়ারি হোগলপাতি গ্রামের মিজান মিয়ার মেয়ে সাথী (১৩), ১৬ ফেব্রুয়ারি মিরুখালী গ্রামের দীলিপ সরকারের মেয়ে দোলা সরকার (১৫), ৮ মার্চ ছোট হারজী গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে মিম আক্তার (১৯), ২৩ মার্চ মঠবাড়িয়া পল্লি বিদ্যুতে কর্মরত লাইনম্যান আশিকুর রহমান (১৯), ২ এপ্রিল হুমায়ূন কবির হাওলাদারের পুত্র তামিম হাওলাদার (১৮), ১১ এপ্রিল উত্তর মিঠাখালী গ্রামের সেলিম হাওলাদারের মেয়ে সুমি (১৪), ১৮ এপ্রিল বড় হারজী গ্রামের ওয়াজেদ আলীর মেয়ে মাসুরা আক্তার (১৭), ২৫ এপ্রিল পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা (৩১), ১৬ মে দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের রিপন মুন্সির ছেলে মো. সোহাগ মুন্সি (১০), ২৪ মে ধানীসাফা গ্রামের নাসির বেপারীর পুত্র রাকিব বেপারী (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন। এ ছাড়া ২৪ মার্চ আলগীতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবতী আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে বিষপানে আত্মহত্যা করেন—গত ২ মার্চ খেতাছিড়া গ্রামের মান্নার স্ত্রী হনুফা বেগম (৪৫), ১৬ জুলাই দেবত্র গ্রামের মৃত এরফান উদ্দিনের ছেলে সফিজ উদ্দিন (৩১) এবং ১৯ মে পাতাকাটা গ্রামের খোকন প্যাদার স্ত্রী শারমিন (২৬)। এ ছাড়া, গত ২২ এপ্রিল চালের পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের মৃত এন্দাজউদ্দিনের ছেলে ফজলুল রহমান (৩৬) আত্মহত্যা করেন।
এ ছাড়া, ১৭ মার্চে হারজী নলবুনিয়া গ্রাম থেকে তাহের আলী নামে এক বৃদ্ধ ও পলাশ বড়াল (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। অপর দিকে ৯ এপ্রিল পূর্ব রাজপাড়া থেকে মনির তালুকদারের স্ত্রী নাজমিনের (৪৫) মরদেহ ও উদ্ধার করে পুলিশ।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, ‘প্রেমে ব্যর্থ অথবা পারিবারিক কলহের জের ধরেই এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। প্রতিটি ঘটনারই থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক