ঢাকা ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২২
নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশাল : বাংলা চলচ্চিত্রের মুকুটহীন সম্রাট আনোয়ার হোসেনের জন্মদিন রোববার (০৬ নভেম্বর)। ‘নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে আনোয়ার হোসেন ‘বাংলার মুকুটহীন সম্রাট’ অভিধা পেয়েছিলেন।
বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নজির হোসেন ও মায়ের নাম সাঈদা খাতুন। তিনি ছিলেন তার বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান।
১৯৫১ সালে তিনি জামালপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। আনোয়ার হোসেন স্কুলজীবনে প্রথম অভিনয় করেন। তার প্রথম অভিনীত প্রথম নাটক- ‘পদক্ষেপ’ (আসকার ইবনে সাইকের লেখা)।
১৯৫৭ সালে আনোয়ার হোসেন ঢাকায় চলে আসেন। এ বছরই পরিচয় ঘটে পরিচালক মহিউদ্দিনের সঙ্গে। এর পর পরই তিনি অভিনয় শিল্পে জড়িয়ে পড়েন। তার অভিনীত প্রথম সিনেমাে নাম- ‘তোমার আমার’। এতে তিনি তার অভিনয়ের স্বাক্ষর রাখেন। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করতে থাকেন এই বরেণ্য শিল্পী।
অভিনেতা আনোয়ার হোসেন অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ’, ‘নাগর দোলা’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘সূর্যস্নান’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জোয়ার এলো’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘নাচঘর’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘বন্ধন’, ‘পালঙ্ক’, ‘অপরাজেয়’, ‘পরশমণি’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘ঈশা খাঁ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘রংবাজ’, ‘নয়নমনি’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘ভাত দে’ উল্লেখযোগ্য। নায়ক হিসেবে তার শেষ সিনেমা ‘সূর্য সংগ্রাম’।
১৯৭৫ সালে প্রথম প্রদানকৃত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা ছিলেন আনোয়ার হোসেন। নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কারটি জিতে নেন তিনি।
এরপর ১৯৭৮ সালে আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ সিনেমায় সহ-অভিনেতা হিসেবে দারুণ প্রশংসা পান তিনি, একইসঙ্গে দ্বিতীয়বার পান এই রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। এছাড়া ২০১০ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ আজীবন সম্মাননায় দেওয়া হয়।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক