ঢাকা ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২০
বরগুনা : টানা বৃষ্টির কারণে পানিতে ডুবে গেছে বরগুনা পৌরসভাসহ আশপাশের অনেক এলাকা। থেমে গেছে সব কাজকর্ম। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানের জীবনযাত্রা।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরগুনা জেলা প্রশাসক রাতে সভা করেছেন। সভায় জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিডিবি এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বরগুনায় ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলা বরইতলা, পোটকাখালী বাওয়ালকার, খাজুরতলা, পৌর শহরের কলেজ ব্রাঞ্চ, ডিকেপি রোড, কেজি স্কুলসড়কসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তালতলী উপজেলার মালিপাড়া, নয়াপাড়া কাজির খাল, ফকিরহাটসহ নিম্নাঞ্চল। জমির ধান বাতাসে নুইয়ে পড়েছে। মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী উপজেলা নিম্নাঞ্চলও ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা-বলেশ্বর ও বিষখালী প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিম্নচাপ ও ভারী বর্ষণে নদীর পানি তিন ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরগুনা সদর উপজেলা খাজুরতলা গ্রামের রাসেল জানালেন, তাদের দুটি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ফলে ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সি এম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমন ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে সবজির খেতে কিছু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আমাদের ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, যদি সংকেত আরও বাড়ে তাহলে উপকূলের মানুষকে আমরা নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসব। এ ছাড়া বন্ধ থাকা স্কুল–কলেজগুলো মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা জেলা শহরের সঙ্গে উপজেলাগুলোর খেয়াপারাপার বন্ধ করে দিয়েছি। আবহাওয়া শান্ত হওয়ার পর খেয়ায় যাত্রী পারাপার শুরু হবে।’
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক