‘পরীক্ষা না দিয়েও বৃত্তি পেয়েছি, মানুষ আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে’

প্রকাশিত: ১২:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৩

‘পরীক্ষা না দিয়েও বৃত্তি পেয়েছি, মানুষ আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে’
নিউজটি শেয়ার করুন

 

পটুয়াখালীর বাউফল ও গলাচিপায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও বৃত্তি পেয়েছে দুই শিক্ষার্থী। এদিকে অংশগ্রহণ না করে বৃত্তি পাওয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের ৪১নং উত্তর পশ্চিম রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাজিয়া রহমান। সে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও ফলাফলে তার নাম এসেছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত সাধারণ বৃত্তির ফলাফলের তালিকায় তার রোল পাওয়া গেছে।

 

 

এদিকে গলাচিপায় সুতাবাড়িয়া গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের শিবু পালের মেয়ে সুস্মিতা। তার সুতাবাড়িয়া সার্কেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষার সময় শরীরে গুটি বসন্ত হওয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অথচ বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল তালিকায় দেখা যায়, সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে।

 

 

 

সুস্মিতা বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ ফলাফল সঠিক নয়। আমি পরীক্ষা না দিয়েও বৃত্তি পেয়েছি, মানুষ আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে।

 

 

 

শিক্ষার্থী সাজিয়া রহমানের বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমার মেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। কিন্তু ফলাফলে আমার মেয়ের নাম এসেছে। বিষয়টি কেমনে কী হলো বুঝতে পারছি না।

 

 

 

৪১নং উত্তর পশ্চিম রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বশার জানান, তার বিদ্যালয় থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও বৃত্তি পাওয়া সাজিয়া রহমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। কীভাবে বৃত্তি পরীক্ষা ফলাফলের তালিকায় ওই শিক্ষার্থীর নাম এসেছে বুঝতে পারছি না।

 

 

 

বাউফল উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, অংশগ্রহণ না করে কীভাবে বৃত্তি পেল সে বিষয়টি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করেছি।

 

 

 

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল জনান, গলাচিপায় বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল অপ্রত্যাশিত। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে ফলাফলে নাম আসার বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

 

 

 

এ বছর বাউফল উপজেলা থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৭৫ জন ট্যালেন্টপুলে ও ১৪৫ জন শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পায়। গলাচিপার ফলাফলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে ৬০ জন ও সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ১২৭ জন।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ