পটুয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

প্রকাশিত: ১১:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন

 

পটুয়াখালী : পটুয়াখালী স্বাস্থ্য বিভাগের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের মামলায় পটুয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন ডা. শাহ মোজাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

 

রোববার দুপুরে পটুয়াখালী সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন ওই সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।

 

অভিযুক্ত সিভিল সার্জন বর্তমানে দিনাজপুর জেলায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে। অপর একটি দুদকের মামলায় আত্মসাতকৃত অর্থ কোষাগারে জমা দেয়ায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তৎকালীন পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) মো. শহীদুল আলম এমএস কোর্সের জন্য ছুটিতে থাকায় পটুয়াখালী জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার শাহ মোজাহেদুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে দুমকি উপজেলায় বরাদ্দ আসা কমিউনিটি বেইজ হেলথ কেয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

 

বরাদ্দকৃত অর্থের ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯৮ টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারে উত্তোলন করা হয়। এমন ঘটনার অনুসন্ধান করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তদন্তে নামে দুদক।

 

দুদকের প্রাথমিক তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেয়ে ২০১৮ সালের দণ্ডবিধি ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের-৫(২) ধারায় পটুয়াখালী সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস।

 

পরবর্তীকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোজাম্মিল হোসেন তদন্ত শেষে সত্যতা পেয়ে ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার পটুয়াখালী সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন অভিযুক্ত সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।

 

২০১৭-১৮ অর্থবছরে অভিযুক্ত সিভিল সার্জন ও তৎকালীন কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিনময় হালদারের নামে প্রায় ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করে দুদক।

 

পৃথক দুটি মামলার বাদী ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস। কলাপাড়ায় বরাদ্দের আত্মসাতকৃত অর্থ কোষাগারে ফেরত দেয়ার কারণে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


নিউজটি শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আমাদের ফেসবুক পেজ