ঢাকা ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২১
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধ সোনা মিয়া শুনু হাওলাদার (৭০) কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে । ফুফাতো ভাই মেনাজ ফকির ও তার লোকজনের বিরুদ্বে তাকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আমতলী উপজেলার পুর্ব সোনাখালী গ্রামে ঘটনা ঘটেছে । পুলিশ নিহত সোনা মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকাবাসী সোনা মিয়ার হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামের সোনা মিয়া হাওলাদারের সাথে তার ফুফুাতো ভাই গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের কাঞ্চনবাড়ীয়া গ্রামের মেনাজ ফকিরের সাথে এক একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ওই জমিতে মেনাজ ফকির ২০-২২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষাবাদ শুরু করেন। খবর পেয়ে সোনা মিয়া হাওলাদার তাদের জমি চাষাবাদে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় ফুফাতো ভাই মেনাজ হাওলাদার। এক পর্যায় মেনাজ ফকির, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফা ও তার লোকজন বৃদ্ধ সোনা মিয়া হাওলাদারকে মারধর শুরু করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
ঘাতক মেনাজ ফকির ও তার লোকজন সোনা মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে বীর দর্পে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মেনাজ ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২২ জন সন্ত্রাসী এসে জমিতে চাষাবাদ শুরু করে। এতে বাঁধা দেয় সোনা মিয়া হাওলাদার। এক পর্যায় তারা সোনা মিয়া হাওলাদারকে পিটিয়ে হত্যা করে বীর দর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় আমরা শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। তিনি আরো বলেন, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক