গাড়ি সাইড না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে এমপির চড়-থাপ্পড়!

প্রকাশিত: ১১:০৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন

 

মোটরসাইকেলবহরকে সাইড না দেওয়ায় নজরুল ইসলাম নামে এক মাছ ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে।

 

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্টেডিয়াম মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নজরুল পাথরঘাটা পৌর ছাত্রলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ও বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক।

 

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল খেলায় মোটরসাইকেলবহর নিয়ে আসার সময় খেলোয়াড়দের বহন করা মাইক্রোবাসটিকে এমপির লোকজন সাইড দিতে বলেন। সরু রাস্তার কারণে মাইক্রোচালক সাইড না দেওয়ায় খেপে যান এমপি। পরে সভামঞ্চে উঠে মাইক্রোবাসে থাকা পাথরঘাটা বিএএফডিসি মৎস্য আড়তদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে কেন তার মোটরসাইকেলবহরটিকে সাইড দেওয়া হয়নি বলেই মারধর শুরু করেন জনসম্মুখে। অকথ্য ভাষায় গালাগালও করেন এবং পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেন।

 

মঞ্চে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির ও আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার সংসদ সদস্যের আচরণে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এমপি আমাকে বলেছেন, নজরুল মাইক্রোর ড্রাইভারকে সাইড না দেওয়ার জন্য বলছেন। এ জন্যই তিনি কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মেরেছেন।

 

মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় সাইড দেওয়ার মতো অবস্থা না থাকায় মাইক্রোবাসচালক সাইড দিতে পারেনি। এমপি আমাকে মঞ্চে প্রকাশ্যে গালাগাল করে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং তার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেন।

 

এ ব্যাপারে আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার বলেন, দেখেছি এমপি চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। মনে হয় কোনো বেয়াদবি করেছে। আমার কাছে বিষয়টি এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝি মনে হয়েছে।

 

এ সময় মঞ্চে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির, আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জমাদ্দারসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

 

এ বিষয়ে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, ‘নজরুল খারাপ লোক, তাই আমি তাকে চড় মেরেছি, তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চড় মারা আমার অপরাধ হলে আমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করুক।’

 

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, আমি মৌখিকভাবে বিষয়টা শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় যাব।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ