ঢাকা ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
পটুয়াখালী : পটুয়াখালী কুয়াকাটায় মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের আয়ের টাকা বরাবরের মতো করোনাকালে সভাপতি চেয়ে না পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইতোমধ্যে সভাপতির অব্যাহতি চেয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের হাতে একটি চিঠি দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম জানিয়েছেন, এসএসসি নিবন্ধন ফি বাবদ টাকা ব্যাংকে যথারীতি জমা হলেও সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সোনালী ব্যাংকের সাবেক এজিএম থাকায় ব্যাংকে প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া টিটি স্লিপ তৈরি করেন। এরপর তার জানা শিক্ষা বোর্ডের গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তাকে (প্রধান শিক্ষক) বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে বিভিন্ন অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, ২০১৯ সালের বার্ষিক পরীক্ষা ও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা সভাপতি ব্যাংকে জমা দিতে না দিয়ে তিন লাখ চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। পরে বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাবদ এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকার একটি অসম্পূর্ণ ভাউচার জমা দিলেও বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া আয়ের অন্যান্য টাকা শিক্ষকদের বেতন ও শহীদ মিনার নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয়, যার যথাযথ খরচ ভাউচার বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত রয়েছে।
একই সঙ্গে সভাপতির নির্দেশক্রমে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা তিন মাসের বকেয়া বেতন বাবদ (শিক্ষার্থীপ্রতি ৪শ) ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা থেকে শিক্ষকদের বেতন এক লাখ ৯২ হাজার, বিদ্যুৎ বিল ৩৩ হাজার এবং বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়াসহ অন্যান্য খাতে খরচ হয়েছে। এ সবের খরচ ভাউচার বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বকেয়া বেতনের আদায় করা ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা সভাপতি চেয়ে না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাঠে নামেন। এর আগে একইভাবে বিদ্যালয়ের আয়ের অধিকাংশ টাকা প্রধান শিক্ষককে ব্যাংকে জমা দিতে না দিয়ে তার হাতে নেওয়ার একাধিক নজির রয়েছে বলেও দাবি ওই সকল শিক্ষকের।
এসব বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়ম না মেনে স্কুল পরিচালনা করেন বিধায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি তার (সভাপতি) বিরুদ্ধে নেমেছেন।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক