ঢাকা ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২২
জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া:: কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল, মুলশ্রী, বাগুডাঙ্গা (সিএমবি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিয়ম বহির্ভুতভাবে গেইটে সভাপতির নাম লেখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। ২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় গেইটে ম্যানেজিং কমিটির নেতৃত্বে উদ্যোক্তা হিসেবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাডঃ নাফিউল মজিদের নাম বসানোর কাজ চলছে।
প্রধান শিক্ষক মাহফুজা খাতুন জানান, ৯৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ২০২০ সালের মাঝামাঝি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাফিদ ট্রেডার্স স্কুলের বাউন্ডারী ওয়াল, গেইট ও অন্যান্য কাজ শুরু করে। বাউন্ডারী ওয়ালের কাজ শেষ হয়েছে রং করা এখনো বাকী আছে। কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে সাইডের পকেট গেইটে উদ্যোক্তা হিসাবে সভাপতির নাম লোখার প্রস্তাব করলে সরকারী নিষেধাজ্ঞা আসায় কাজ বন্ধ থাকে। ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২২ নভেম্বর সকালে পুনরায় কাজ শুরু করলে তিনি জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানালেও কাজ বন্ধ রাখেনি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। এছাড়া সভাপতিকে ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি বলে জানান।
অভিভাবক নুরআলম কাজী জানান, এ্যাডঃ নাফিউল মজিদ সভাপতি হওয়ার পর স্কুলের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। স্কুলের বাউন্ডারী ও গেইটের জন্য তার প্রচেষ্টায় প্রায় প্রায় ১ কোটি টাকার প্রজেক্টের কাজ শেষের পথে। এ ছাড়া শহীদ মিনার ও অন্যান্য কাজের জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তাকে স্কুল উন্নয়নে উৎসাহিত করার জন্য ম্যানেটিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসীর সাথে পরামর্শ করে গেইটে তাঁর নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
স্কুলের বিদ্যুতসাহী সদস্য ও পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহামুদুল ইসলাম জানান, সভাপতি নাফিউল মজিদ অনেক কষ্ট করে এই প্রজেক্টটি পাশ করিয়ে আনায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা মনে করেছিল উদ্যোক্তা হিসাবে তার নামটা গেটে থাকুক। সে মতে আমরা একটা রেজুলেশন তৈরী করেছিলাম। তবে জেলা ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কাজ বন্ধ করতে বলায় আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে সভাপতি কাজী নাফিউল মজিদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই স্কুলের সামনে পুরাতন গেইটে প্রতিষ্ঠাতা ও সৌজন্যে লেখা আছে। কার্যকরী কমিটি তাদের নিজস্ব উদ্যোগে একটি রেজুলেশন পাশ করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অত্র এলাকার বিভিন্ন স্কুলে উদ্যোক্তার নাম এভাবে লেখা আছে। এটা নিয়ে বিরুদ্ধচারন লজ্জার বিষয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাজাহান মিয়া বলেন, ওই মিস্ত্রি ও টাইল্স কোনাটাই আমাদের না। প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে তাদের কাজ করতে নিষেধ করা হলেও তারা শোনেনি। এ বিষয়ে আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেছি। তিনি ইউএনও কালিয়াকে বিষয়টি অবগত করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও কালিয়া মোঃ আরিফুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
nobokontho24/barishal
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক