ঢাকা ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২১
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরও সহজ হচ্ছে করোনার টিকা গ্রহণ কার্যক্রম। এখন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ের টিকাদানকেন্দ্রে গেলেই পাওয়া যাবে টিকা। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধকল্পে আরোপিত বিধি-নিষেধের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা প্রদান কার্যক্রম জোরদারকরণ‘ শীর্ষক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল- এমপি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকালে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চলবে। শিল্পপতিরা অনুরোধ করেছিলেন, আমরা সেই রিকোয়েস্ট গ্রহণ করতে পারছি না। টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন এনআইডি কার্ড নিয়ে যে যাবেন তাকেই টিকা দেয়া হবে। জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে। আমরা টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করব। যে টিকা আছে তা দিয়েই শুরু করব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘লকডাউনের মাধ্যমে করোনা রোধ করা যাবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এজন্য টিকাদানে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে টিকাদানকেন্দ্র খোলা হবে। যারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে পারবেন তাদের টিকা দেওয়া হবে। টিকা আরও হাতে এলে ওয়ার্ড পর্যায়েও এই কার্যক্রম শুরু হবে।’
তিনি জানান, ‘বর্তমানে ৫০ ঊর্ধ্ব বয়স যাদের তাদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এজন্য তাদের দ্রুত ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদানকেন্দ্রে এনআইডি নিয়ে এসে টিকা নিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন থাকবে না, তাদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন করে টিকা দেয়া হবে।’
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক