ঢাকা ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
কলাপাড়া : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদারের উপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগে স্বস্ত্রীক গ্রেপ্তার টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমুকে নির্দোষ দাবি করে তার মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পিতা কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি সৈয়দ আখতারুজ্জামান কোক্কা।
শুক্রবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারি মো. জুলহাস মোল্লা।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমুর জনপ্রিয়তা বিনষ্ট করার জন্য তার বিরুদ্ধে গত ২৯ নভেম্বর মামলা দায়েরের পর তাকে স্বস্ত্রীক পুলিশ গ্রেফতার করে। মামলায় মুক্তিযোদ্ধার কাছে চাঁদা দাবি ও তার নেতৃত্বে হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহার শিমুর মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাদের অভিযোগ, উপজেলার চাকামইয়ার মাদরাসা শিক্ষকের ছেলে মিরাজের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামত ও তার ছেলে। এ টাকা না দেয়ায় চেয়ারম্যান পুত্র হাসিবের নেতৃত্বে মিরাজের বাসায় হামলা করে এবং মিরাজকে ধরে বিসমিল্লাহ ইট ভাটায় নিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামতকে প্রধান আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের হয়। এ হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমকে কেরামত বাহিনী মারধর করে টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের উপর দোষ চাপায় এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
সৈয়দ আক্তারুজ্জামান কোক্কা আরও বলেন, গত উপজেলা নির্বাচন ও টিয়াখালী ইউপি নির্বাচননে আমার ও আমার ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়াম্যান মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সংবাদ সম্মলনে টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক