ঢাকা ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২০
বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কফিল প্রথা’ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। বুধবার সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়।
মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ১৪ মার্চ থেকে ছোট মোয়াচ্ছাছার (কোম্পানি) শ্রমিকদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে নেওয়া হবে। যার ফলে প্রচলিত ‘কফিল প্রথা’ আর থাকবে না। তবে এই আইন শুধু বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, গৃহস্থালি কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের (গৃহকর্মী, ড্রাইভার) জন্য আলাদাভাবে চিন্তা করছে মন্ত্রণালয়। পরবর্তী সময়ে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
এই ঘোষণার ফলে এখন আর ‘কফিল প্রথা’ থাকছে না। এই প্রথা বাতিলের ফলে প্রবাসীদের অনেক অসুবিধা কমে যাবে। এখন থেকে সৌদি আরবে কাজ করতে প্রবাসীদের আর কোনো ‘কফিলের’ দ্বারস্থ হতে হবে না। যার ফলে তিনি এখন নিজের মতো করে নিজের কাজকর্ম করতে পারবেন।
ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু ছোট মোয়াচ্ছাছার শ্রমিকরা এখন থেকে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে কাজ করবে তাই তাদের সুযোগ-সুবিধাও বাড়বে।
এর আগে সৌদি আরবের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ২৭ অক্টোবর এক ঘোষণায় জানিয়েছিল, সৌদি আরবে কফিল প্রথা শিগগিরই বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে।
‘কফিল প্রথা’ কী
কফিল প্রথা হচ্ছে, এমন এক প্রথা, যেখানে যেকোনো প্রবাসীই কোনো না কোনো সৌদি নাগরিকের নামে থেকে কাজ করবেন। অথবা তাঁর নামেই ব্যবসা করবেন। বিনিময়ে প্রতি মাসে তাঁকে লাভের একটা অংশ দিতে হবে। এ ধরনের প্রথায় নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় প্রবাসীদের। অনেক ক্ষেত্রেই সৌদি নাগরিক বা কফিলরা প্রবাসীর অধিকার বা হক রক্ষা না করে, প্রবাসীর বহু কষ্টে উপার্জিত অর্থ লোপাট করে নিজেই লাভবান হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক