ঢাকা ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২০
স্পোর্টস ডেস্ক : কিংবদন্তী ফুটবলার। আর্জেন্টিনার জার্সি গাঁয়ে বিশ্ব কাঁপিয়েছেন। অনেকের মতে তিনিই ফুটবলের ঈশ্বর। আজ সেই কিংবদন্তির ৬০তম জন্মদিন। ৬১ তে পা দিলেন এ আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেট।
১৯৯৮ এ আর্জেন্টিনার রোজারিওতে ইগলিসিয়াস মারাদোনিয়ানা গোড়াপত্তন। না, খ্রিষ্টান কিংবা বৌধ্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় নয় এটি। যেখানে ধর্ম ফুটবল আর যে ধর্মের ইশ্বর শুধুই ম্যারাডোনা। ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাসে জিশুর জন্মদিন যেভাবে পালিত হয় ঠিক তেমনি ত্রিশ অক্টোবর ম্যারাডোনা ভক্তরা পালন করেন তাদের ইশ্বরের জন্মদিন। কতটা ভক্তি আর ভালোবাসায় উপাশনালয়ে ম্যারাডোনার আরাধনা সম্ভব তার এক ঝলক এই ইগলিসিয়াস।
উত্থান-পতনের এক অপূর্ব মেলবন্ধনে গড়া যার জীবন। কখনো সাফল্য শিখরে কখনো বা ব্যর্থতার অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া যার অভ্যাস। প্রশংসায় ভেসেছেন দুয়োধ্বনি শুনেছেন ঢের। নন্দিত-নিন্দিত, বর্ণীল-ধূষর, বৈচিত্রময় এক মহাকাব্যের নাম ম্যারাডোনা।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে জাতীয় দলে জায়গা হয়েছিলো ঠিকই কিন্তু, এই বয়সের জন্যই ৭৮ বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি। আলবিসেলেস্তে জার্সীতে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল তার মাহাত্ম্য বোঝায়না। ক্লাব ক্যারিয়ারে নাপোলিকে প্রথম আর শেষ বারের মত দুবার লিগ শিরোপা উপহার কিংবা উয়েফা কাপ জেতানোও তার গরীমা বোঝাতে যথেষ্ট নয়।
১৯৮৬ বিশ্বকাপটা সব বিশ্বকাপ থেকে আলাদা, মহিমান্বিত শুধুই ম্যারাডোনার জন্য। একক নৈপুন্যে বিশ্বকাপ উপহার দেয়ার নজির ইতিহাসে মেলা ভার। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল ‘হ্যান্ড অব গড’ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। একই ম্যাচে শতাব্দীর সেরা গোলের দেখা পান এ কিংবদন্তি।
১৯৯০ তে তার নেতৃত্বে ফাইনালে উঠেছিলো হট ফেভারিট আর্জেন্টিনা। তবে টানা দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ এখনো পোড়ায় ম্যারাডোনাকে।
৬০তম জন্মদিন অনেকটাই নিভৃতে একাকী কাটছে ফুটবল ইশ্বরের। দেহরক্ষীর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় সেল্ফ আইসোলেশনে জীবন্ত কিংবদন্তি। তবে বিশ্বজুড়ে চলছে কোটি ফুটবল ভক্তের মনে, হাজারো ক্রীড়া সাংবাদিকের লেখনীতে অদৃশ্য উদযাপন।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক