ভিডিও লাইভে এসে যুবকের আত্মহত্যা!

প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০

ভিডিও লাইভে এসে যুবকের আত্মহত্যা!
নিউজটি শেয়ার করুন

 

দিনাজপুর শহরে মুঠোফোনে ভিডিও কলে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ওই যুবকের মায়ের দাবী তার ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে তার স্ত্রী এবং শ্বশুর পরিবার। এ ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

 

ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড খোদমাধবপুর মিস্ত্রি পাড়া এলাকায়। ওই যুবকের নাম মো. ফিরোজ আলী (২০)। সে মো.ওয়াহেদ আলীর ছেলে।

 

রোববার রাত আনুমানিক ২ টায় ফিরোজের মাকে তার শ্বশুর মুঠোফোনে জানান, “দেখেন তো, আপনার ছেলে গলায় ফাঁস দিয়েছে, ভিডিও কলে দেখা যাচ্ছে।” এ সময় স্থানীয় লোকজন তার বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 

স্থানীয়রা জানান, ফিরোজ ২ বছর আগে প্রেম করে বিবাহিত বন্ধনে আবদ্ধ হয়, একই এলাকার সাহদুল ইসলামে মেয়ে সাবিনা খাতুনের সাথে। বিবাহিত জীবনে অশান্তিতে থাকলেও বছর ঘুরতেই সন্তানের বাবা হয় ফিরোজ। সন্তান হওয়ার পরেও প্রায় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত এই দম্পতির।

 

সাবিনা তার বাবার বাসা থেকে সামাজিক যেগাযোগ এসএমএস ও ভিডিও কলেই ঝগড়া করত। ঘটনার রাতেও ইমুর মেসেঞ্জারেও ফোন কলে ফিরোজ মারার হুমকি দেয় স্ত্রী সাবিনা। এক পর্যায়ে সাবিনাকে ইমুর ভিডিও কলে রেখে ঘরের দরজা বন্ধ করে বিদ্যুতের তার কেটে গলায় ফাঁস দেওয়ার প্রায় দু”ঘন্টা পর সাবিনার বাবা ফিরোজের মাকে গলায় ফাঁস দেয়ার বিষয়টি জানান।

 

ফিরোজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় লাশটি ময়নাতদন্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ