ভোলার আবাসিক হোটেল থেকে মনোজবাট (৩৫) নামের এক ভারতীর নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ভোলা সদর জাহাজ মার্কেটের জাহান আবাসিক হোটেলের ২০৬ নম্বর রুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মনোজবাট ভারতের রাজস্থান প্রদেশের পাড়ি জেলার বাসিন্দা। তিনি পেশায় চিত্রশিল্পী ছিলেন। এছাড়া চার সন্তানের জনক ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিহতের সাথে থাকা পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তারা হলেন জয় লাল, কিশান রায়, নারেশ কুমার, রবি কুমার ও ইশান রাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতের রাজস্থান প্রদেশ থেকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে মনোজবাটসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এক সপ্তাহ যশোর থাকার পর ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি দু‘ধাপে যশোর থেকে ভোলায় প্রবেশ করেন। তারা ভোলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেনসি আর্ট করতেন। এবং ভোলা শহরের জাহান আবাসিক হোটেলে নিয়মিত রাত্রীযাপন করতেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে খাবার খাওয়া শেষে হোটেলে ঘুমিয়ে যান। পরদিন সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ভারতীয় নাগরিক মনোজবাটের সহকর্মী ইশান রাম বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো কাজ শেষ করে আমরা হোটেলে ফিরে খাওয়া-দাওয়া শেষে টিভি দেখার পর রুমে ঘুমাতে যাই। পরদিন সকালে মনোজবাটকে চা খাওয়া জন্য ডাকতে গেলে তিনি কোনো সারা না দিলে হোটেল কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসক ডাকা হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হোটেল কতৃপক্ষকে সাথে নিয়ে থানায় জানানো হয়। মনোজবাটের মৃত্যু বিষয়টি তার পরিবারের মাধ্যমে ভারতীয় দূতাবাসে জানানো হয়েছে।

জাহান আবাসিক হোটেল ম্যানেজার মো: ইকবাল হোসেন ও বিপ্লব দে বলেন, ভারতীয় ছয় নাগরিক গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি আমাদের হোটেলে ওঠেন। পরে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী তাদের ভোটার আইডি ও পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ করি। তারা টানা ১২ দিন হোটেল থেকে সকালে বের হয়ে আবার সময় হলে এসে ঘুমাত। ঘটনার রাতেও তারা ঘুমিয়েছে। সকালে তাদের একজন এসে জানায় মনোজবাট নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডাক্তার ও থানায় খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জানান, শহরের আবাসিক হোটেলে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছায়। সুরতহাল সংগ্রহের পর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা কী কারণে ভোলায় এসেছেন তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে দু‘দেশের দূতাবাসের সমন্নয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।