ঢাকা ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারে বাবা হঠাৎ অসুস্থ। রোজগারের দ্বিতীয় কোনো পুরুষ লোক নেই। কী আর করা- তাই অভাবী সংসারের হাল ধরতে হলো সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী হাফসা আক্তার মুনিরার।
সে এখন বাবার পেশা খেয়াঘাটের মাঝি। মানুষকে খেয়া পারাপার করে যা উপার্জন করে, তা দিয়েই চলে তাদের পরিবার ও অসুস্থ বাবার চিকিৎসা খরচ।
মুনিরা পিরোজপুরের কাউখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বাসুরি আবাসনের বাসিন্দা মনির সরদার।
মনির সরদার গত কিছুদিন যাবত বেশ অসুস্থ। কাজকাম করতে পারছেন না। কিন্তু দুমুঠো খাবার তো দরকার-তাই তার পেশা সামলাচ্ছে তার ছোট্ট মেয়েটি।
সংসারের দায়িত্বভার মুনিরার ওপর পড়ায়, সে এখন ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারছে না। এতে তার লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে এবং এভাবে চলতে থাকলে সে পড়া চালিয়ে যেতে পারবে কিনা- তাতেও বেশ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অথচ মুনিরা লেখাপড়া করে অনেক বড় মানুষ হতে চায়।
‘আমি লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত করতে চাই। গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। কেননা, দারিদ্র কি কঠিন জিনিস তা আমি উপলব্ধি করতে পারি। এজন্য আমি চাই দেশে কোনো দরিদ্র না থাকুক।’ বলছিল মুনিরা।
মুনিরার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনির মোল্লা জানান, মেয়েটি লেখাপড়ায় খুবই মনোযোগী। আমরা বিদ্যালয় থেকে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ খালেদা খাতুন রেখা বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক