ঢাকা ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২২
২০১৯ সালের ২৬ জুন। বরগুনা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে। ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে তিন বছর। নিম্ন আদালতে বিচারের রায় হলেও আপিলে উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে বিচারকাজ।
সেদিন সরকারি কলেজের এক ছাত্র নিজের মোবাইল ফোনে সেই ঘটনা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এতে দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাতের স্ত্রীসহ ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ওই বছরের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন জেলা শিশু আদালত। রায়ের পর দণ্ডিত সব আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। এখন সেই আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও এই মামলায় দণ্ডিত ১৭ আসামির মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক পাঁচজন জামিনে রয়েছেন।
বন্ড বাহিনীর নৃশংস হামলায় তিন বছর আগে প্রাণ হারান শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ। সেই থেকে ছবির মধ্যেই একমাত্র ছেলেকে খুঁজে বেড়ান তার অসুস্থ মা ডেইজি আক্তার। ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাবা দুলাল শরীফও। এছাড়াও দণ্ডিত আসামিরা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় ক্ষুব্ধ তারা। তাই দ্রুতবিচার শেষে আসামিদের রায় বাস্তবায়নের দাবি রিফাতের পরিবারসহ এলাকাবাসীর।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, নিম্ন আদালতে আমার ছেলে হত্যা মামলার রায় দ্রুত হলেও ঝুলে আছে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। শিগগির এই রায় কার্যকর হওয়া উচিত।
রিফাতের মা ডেইজি আক্তার বলেন, আমার ছেলে হত্যা মামলার রায় হয়েছে দুই বছর হলেও এখনও কার্যকর হয়নি। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়, সেটা আমি দেখতে চাই।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আলোচিত এই মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করেছে আসামিপক্ষ। কোনো আপিল এখনও শুনানি হয়নি। সব আপিল শুনানির জন্য আছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক