ঢাকা ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২২
বরগুনার পাথরঘাটায় ক্লিনিক ম্যানেজার মনিরুজ্জামানের চিকিৎসায় ১দিন বয়সী নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১০ মে) রাতে এ অভিযোগ করেন ওই নবজাতকের ফুপা খসরু মিয়া। এঘটনায় স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেস্টা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকলে ৫টার দিকে উপজেলার হাসপাতাল সড়কের পাথরঘাটা সৌদি প্রবাসী ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। নবজাতকের বাবা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রুহিতা এলাকার সৌদি প্রবাসী আবুসালেহ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকালে সিজারিয়ান (অস্ত্রোপচার) এর মাধ্যমে পাথরঘাটা সৌদি প্রবাসী ক্লিনিকে চিকিৎসক মো. বশির আহমেদ নবজাতকবের করেন। এর পরে ওই চিকিৎসক কোন চিকিৎসা না দিয়েই চলে যান। এর কিছুক্ষন পরে ম্যানেজার মনিরুজ্জামান ব্যাবস্থাপত্র লিখে নবজাতক ও তার মায়ের চিকিৎসা দেন এবং নবজাতককে অক্সিজেন লাগান। পরে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নবজাতকে স্যালইন দেয়ার জন্য অক্সিজেন খুলে প্রায় আধাঘন্টা রেখে দেন মনিরুজ্জামান এবং কেনুলা পরানোর চেস্টা করেন। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ক্লিনিকের এক কর্মচারী জানান, মুলতো আমাদের এখানের প্রাথমিক চিকিসা দিয়ে থাকে ম্যানেজার স্যার। আমাদের ধারনা এই নবজাতকের অক্সিজেন খুলে রাখার জন্যই তার মৃত্যু হয়েছে। যখর নবজাতকের অবস্থা খারাপ হয়েছে তখন বশির স্যারকে বলা উচিৎ ছিল। তা না করে তিনিই চিকিৎসা দেয়ার চেস্টা করেন।
ওই শিশুর ফুপা খসরু মিয়া জানান, আমার শ্যালকের স্ত্রী মারিয়া আক্তারের ব্যাথা শুরু হলে তার চিকিৎসার জন্য পাথরঘাটা সৌদি প্রবাসী ক্লিনিকে নিয়ে আসি। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই ম্যানেজার মনির জানান, মারিয়ার সিজার করানো লাগবে। এর পর সিজার করালে নবজাতক অসুস্থ তাকে ইনকিউবেটরে রেখে দ্রুত বিল দিতে বলেন। আমার বিল দিতে দেরি হওয়াতে আমার সাথে দুর্ব্যাবহার শুরু করে দিলে আমি টাকা দিয়ে দেই। পরে আজ বাচ্চা অসুস্থ্য হলে ম্যানেজারই তার চিকিৎসা দেন। ক্লিনিকে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নিয়ে আসলে যদি ম্যানেজার চিকিৎসা দেন এটা কেমন ক্লিনিক। আমরা এর প্রতিকার চাই, আমাদের শিশুর মতো যেন এরকম আর না হয়, প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা সৌদি প্রবাসী ক্লিনিকের ম্যানেজার মনিরুজ্জামানের কাছে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ক্লিনিকের পার্টনার নিরু খান জানান, ওই শিশুর শ্বাসে সমস্যা ছিল তাই তার মৃত্যু হয়েছে।
এবিষয়ে বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুল হক জানান, এরকম ঘটনার কথা আমি এখন পর্যন্ত শুনিনি। ভুক্তভোগী আভিযোগ দিলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক