বাবুগঞ্জে পিতার সম্পত্তি ফিরে পেতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২২

বাবুগঞ্জে পিতার সম্পত্তি ফিরে পেতে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন
নিউজটি শেয়ার করুন

 

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তির হিসাব চাওয়ায় বিভিন্ন রকমের হয়রানি ও হুমকির প্রতিবাদে চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ভাতিজি।

 

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মৌরিন আক্তার আশামনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের এনামুল হক আনাম মিয়া ও রাশিদা বেগম দম্পত্তির একমাত্র কন্যা। আমার দাদা মৃত মোজাম্মেল হক (কানু মিয়া)। ১৯৯১ সালে আমার বয়স যখন ১ মাস তখন আমার বাবা এনামুল হক আনাম মিয়াকে দূবৃত্তরা মেরে ফেলে। আমার যখন ৩ বছর বয়স তখন আমার মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। আমি চাচাদের কাছেই বড় হয়েছি। আমি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে পাশ্ববর্তী রমজানকাঠী গ্রামে আমার বিয়ে হয়। আমার বাবার নামে এলাকায় ‘আনাম স্মৃতি’ নামে একটি কালাব আছে। আমি ওই ক্লাবে গেলে আমার চাচা ছানাউল হক মিয়া বলে আমার বাবার কোন সম্পত্তি নেই। এছাড়াও তিনি বলেন আমার দাদা মোজাম্মেল হক (কানু মিয়া) সকল সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন। অথচ বাবা ছাড়া আমার তিন চাচা ও দুই ফুপুর নামে সমহারে সম্পত্তি রয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে ২০২১ সালে আদালতে মামলা করি এবং আমি একজন মা-বাবাহীন মেয়ে হিসেবে দ্রুত নিষ্পত্তি চাই।

 

পরে বিভিন্ন কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখতে পাই আমার বাবা তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রায় ৩ একর ৩৩ শতক জমির মালিক। এর বাহিরে আরো সম্পত্তি আছে। আমার দাদার ৭ জন ওয়ারিশের মধ্যে রহস্যজনকভাবে শুধুমাত্র আমার বাবার নাম ব্যতিত অন্য ৬ জনের নামে তাদের সম্পত্তি রেকর্ড করানো হয়েছে। তাই আমি আমার বাবার একমাত্র ওয়ারিশ হওয়ায় বিভিন্ন সময় আমার চাচাদের কাছে বাবার সম্পত্তি ফেরত চাওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানীসহ হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।

 

তিনি এসময় আরো বলেন, সম্পত্তির লোভেই হয়তো সেদিন আমার বাবাকে চাচারা হত্যা করেছে। চাচা সানাউল হক মিয়াসহ সকলের বিরুদ্ধে অবৈধ উপার্জণ করার অভিযোগ আনেন এবং তাদের অবৈধ উপর্জনের কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুমতি ব্যাতি রেখে আমার নামে(আশা ফার্ম) কয়েকটি ফার্ম করেছে। এছাড়া আমার নামে তারা ব্যাংকে হিসাব খুলে অবৈধ টাকা লেনদেন করছে। তারা ঢাকায় ও বরিশালে জমি কিনে বাড়ি করেছে। এত টাকা কোথায় পেলো তারা? তদন্ত করলেই সব বেড়িয়ে আসবে।

 

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদক এর কাছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানায় তিনি। এ সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ