কলাপাড়ায় এক সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২১

কলাপাড়ায় এক সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার
নিউজটি শেয়ার করুন

 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় জামাতা শিমুল খলিফাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

গতকাল রবিবার রাতে কলাপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন শ্বশুর রফিক হাওলাদার। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য টিয়াখালী গ্রাম থেকে জামাতা শিমুল খলিফাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে দুপুরে শিমুলের বসত ঘর থেকে পুলিশ তার স্ত্রী রুবিনার গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করে। কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত রুবিনা চম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া গ্রামের রফিক হাওলাদারের মেয়ে। তার রাতুল নামে তিন বছরের এক সন্তান রয়েছে।

 

নিহত রুবিনার ভাই রাজিব হাওলাদার জানান, প্রায় চার বছর আগে রুবিনার সাথে শিমুলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়েতে উপহার হিসাবে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রীও দেয়া হয়। কিন্তু বছর না যেতেই বরিশালে এক নারীর সাথে শিমুল পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় প্রায়ই রুবিনাকে মারধর করতো শিমুল। এ নিয়ে পারিবারিক পর্যায়ে একাধিকবার বসা হলে শিমুলের নির্যাতন থামেনি। রোজার আগে শিমুলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দেড় মাস বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকে। পরে আবার তাকে বাসায় নেয় শিমুল।

 

তিনি আরো জানান, ঈদের পরদিন (শনিবার) তার বোন রুবিনা কুয়াকাটা বেড়াতে যেতে চায়। শিমুল পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে রুবিনাকে কুয়াকাটা ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই শিমুলের পরকীয়া প্রেমিকা উপস্থিত ছিলো। বিষয়টি রুবিনা দেখে ফেলে। রাতে বাসায় এসে এনিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। সকালে খবর পান তার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের অভিযোগ পরকীয়ার কারনে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। তার পিতা মামলায় এ বিষয়টি উল্লেখ করেছে।

 

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহতের পিতা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত শিমুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।

 


নিউজটি শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আমাদের ফেসবুক পেজ