পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মহাসমাবেশে হামলার অভিযোগ তুলে এবার দেশব্যাপী তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালনের পর অবরোধের ডাক দেয় দলটি।
কর্মসূচি অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় দেড় দশক ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি।
সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থপাচার ও সিন্ডিকেটবাজির ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহতি ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ২৮ অক্টোবর আয়োজিত মহাসমাবেশে হামলা করা হয়। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ এবং এক দফা আদায়ে ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
নিজেদের মহাসমাবেশে হামলার অভিযোগ আজ রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। গতকাল দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে রোববার হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
হরতাল শুরুর পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে তার বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
দিনভর বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে দেশব্যাপী বিএনপির হরতাল পালিত হয়েছে। হরতাল পালনকালে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে এক শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু হয়। এছাড়া রাজধানীতে কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনা ছাড়া সারাদেশে অনেকটা ঢিলেঢালাভাবেই পালিত হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল।