নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশাল:: বাংলাদেশি হজযাত্রীরা বড় সুখবর পেতে যাচ্ছেন। পবিত্র হজে যেতে সৌদির ইমিগ্রেশন ঢাকাতেই সম্পন্ন করতে পারবেন তারা। এ লক্ষ্যে রোববার (১৩ নভেম্বর) ‘রুট টু মক্কা সার্ভিস’ নামে একটি চুক্তি সই হবে। এটি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি যাত্রা আরও সহজ ও ঝক্কি-ঝামেলামুক্ত হবে। গতকাল শনিবার (১২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মহামারী করোনাভাইরাসের আগে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২৫ লাখের মত মানুষ হজ পালন করতে সৌদি আরবে যেতেন। যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা থাকত এক লাখের বেশি।
যেসব দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ হজ করতে যান, তারা বিশেষ ব্যবস্থায় সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া নিজেদের দেশেই করার বন্দোবস্ত করছে। ফলে ওই সব দেশের হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে বিমানবন্দরে বসে থাকতে হয় না। অন্যদিকে বাংলাদেশ সেই ধরনের কোনো বন্দোবস্ত আগে না থাকায় জেদ্দায় পৌঁছানোর পর হজযাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
হজযাত্রীদের সেই বিড়ম্বনার অবসানে ২০১৯ সালে সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের ঢাকায় এনে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় সেই কার্যক্রমে তখন ব্যাঘাত ঘটে। ইমিগ্রেশনের ক্লিয়ারেন্স দেশ থেকে সম্পন্ন হলে বাংলাদেশি হাজিরা জন্য দুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে।
দুই দিনের সফরে গতকাল বাংলাদেশে এসেছেন সৌদির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল-দাউদ। সফরের প্রথম দিন গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সাক্ষাতে বাংলাদেশ থেকে নতুন করে ২৮ লাখ কর্মী নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকের পর হজযাত্রীদের জন্য হতে যাওয়া চুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোববার ‘রুট টু মক্কা সার্ভিস’ নামে একটি চুক্তি সই হবে। এই চুক্তি সই হলে আর দীর্ঘসময় ধরে ইমিগ্রেশনের কোনো হয়রানি ছাড়াই প্লেন থেকে নেমে হাজিরা মক্কা শরিফে চলে যেতে পারবেন।
গুগল নিউজে (Google News) নবকন্ঠ২৪’র সকল খবর পেতে ফলো করুন
বৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে সমর্থনের জন্য সৌদি বাদশাহ, ক্রাউন প্রিন্স এবং সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।