শিরোনাম

স্বর্ণসহ দুই কোটি টাকা নিয়ে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

By admin

March 01, 2022

 

নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশালঃ বগুড়ায় ফ্রান্স প্রবাসী স্বামীর স্বর্ণালংকারসহ দুই কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন স্ত্রী। মঙ্গলবার বগুড়া প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন আবুল কাশেম নামের ওই প্রবাসী স্বামী। স্ত্রীর এমন বিশ্বঘাতকতায় সবকিছু হারিয়ে এখন তিনি অসহায় জীবন যাপন করছেন বলেও জানান।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৩০ বছর স্পেন প্রবাসী এবং আট বছর আগে দেশে এসে খান্দার এলাকার আব্দুল হাকিমের মেয়ে শবনম হাফসাকে বিয়ে করি। পরে আমাদের একটি মেয়ে সন্তান হয়। তার বয়স যখন ২৫ দিন, তখন আমি আবারো ফ্রান্সে চলে যাই । যাওয়ার সময় আমি বাড়ির দলিল, গাড়ি, টাকা, অলংকারসহ সবকিছু স্ত্রী শবনমের কাছে রেখে যাই।

 

যাওয়ার ২ বছর পর থেকে আমি শবনম ও আমার মেয়ের সাথে ভিডিও কল দিয়ে কথা বলতে চাইলে শবনম ঠিকমতো ফোন রিসিভ করত না এবং অডিও কল দিতে বলতো। সে সময় লোক মারফত জানতে পারি আমার বাড়িতে সবসময় বহিরাগত পুরুষের আনাগোনা। সে এক ছেলের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়েছে। মেয়েকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বাসায় রেখে অন্যের সাথে রাতে বাইরে যায়।

 

স্বামী আবুল কাশেম জানান, বাসা ভাড়ার টাকাসহ তার পাঠানো টাকা তার মাকে দিত না। তিনি দেশে আসতে চাইলে তাকে আসতে নিষেধ করত।

 

তিনি বলেন, ‘পরে কৌশলে গত বছরের ৩ জুলাই আমি দেশে ফিরলে, তখন আমি বাসায় ঢুকলে একদল সন্ত্রাসী আমাকে আটকে রাখে এবং বলতে থাকে- এই বেটা এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যা। এটা তোর বাড়ি না। তোমার বউ তোমাকে তালাক দিয়েছে। শবনমও আমাকে জানায়, আমি তো অনেক আগেই তালাক দিয়েছি।’

 

সে আমাকে আরো জানায়, আমার বাড়িটি শাজাহানপুরের সাজাপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমার কাছে ৫১ লাখ টাকা দাবি করে এবং ছয় লাখ টাকার স্ট্যাম্পে জোর করে সই নেয়। তারা আমার কাছে থাকা আট হাজার ৫০০ ইউরো ও পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আমাকে আটক রাখে। তারপর আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে শবনমকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

 

এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে গোলাম রব্বানী জাল দলিলের পক্ষে বাড়ি দাবি করায় পুলিশ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তাদের সরিয়ে দেয়। আমি এরপর জানতে পারি শবনম একইসাথে আমার একটি কারগাড়ি কৌশলে নাম পরিবর্তন করে তার নামে নিয়ে নিয়েছে। আমার বাড়ির সব আসবাবপত্র বিক্রি ও দলিল পত্র গায়েব করে দিয়েছে। বাড়ি ভাড়াসহ আমার প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

 

এদিকে বড়ি দখল নিতে ব্যর্থ হয়ে জায়গা দখলকারী গোলাম রব্বানী বগুড়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: আলহাজ শেখের নিকট বাড়ির মালিকানা দাবি করে লিখিত অভিযোগ দিলে কাউন্সিলরের লোকজন আমার ভাড়াটিয়ার কাছে বাড়িভাড়া দাবি করে। আমি প্রায় সাত মাস যাবত গোলাম রব্বানী ও শবনমের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। শবনম আমার সব শেষ করে দিয়েছে। বর্তমানে অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছি। বর্তমানে আমি এমন অবস্থা থেকে প্রতিকারের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি।