বরিশাল, নবকন্ঠ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফ নির্লোভ ও সজ্জন রাজনীতিবিদ হিসেবে মানুষের কাছে সমাদৃত ছিলেন। সাবেক এই মন্ত্রী ছিলেন জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সকালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে স্থাপিত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের নেতাকর্মীরা। পরে বিকেলে জেলা আওয়ামী কার্যালয়ে মরহুম এই নেতার জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেখানে দোয়া মাহফিলের আয়োজনও রয়েছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্যে চলে যান সৈয়দ আশরাফ। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি এক কন্যার জনক। তাঁর স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।
সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন।