পটুয়াখালী : দীর্ঘ তিন বছর ধরে সরকারি বিদ্যালয়ের দুটি পাঠদান কক্ষে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজির আহম্মেদ সরদার।
নামে-বেনামে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে ব্যবস্থা নেয়নি তারা। শুধু পাঠদান কক্ষ নয়, বিদ্যালয় সংলগ্ন জমিতে টিনশেড উঠিয়ে তার ভাস্তিজামাই পরিচালনা করছেন জমজমাট সারের ব্যবসা।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নদীবেষ্টিত দ্বীপ চরবোরহান ইউনিয়নের ১০২নং মধ্য চরবোরহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।
অভিযোগ রয়েছে-১০২নং মধ্য চরবোরহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য একটি স্কুল-কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ২০১৯ সালের জুনে ভবন বুঝিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০১৭ সাল থেকে পুরাতন স্কুলের কক্ষ তার দখলে ছিল।
নতুন ভবন নির্মাণ অবস্থায় প্রাথমিকভাবে ওই বিদ্যালয়ের ৪ রুমবিশিষ্ট ভবনের দুটি রুম চেয়ারম্যান দখলে নিয়ে নেন। এরপর নতুন ভবন নির্মাণ শেষে পুরাতন ভবনের সম্পূর্ণটা দখল নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করা শুরু করেন চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজির আহম্মেদ। পাশাপাশি বিদ্যালয় সংলগ্ন জমি দখল করে গবাদিপশু লালন-পালন শুরু করেন তিনি।
কিছু দিন না যেতেই বিদ্যালয় সংলগ্ন জমি দখল করে একটি বড় আকারে টিনশেড উঠিয়ে ভাস্তিজামাই রিয়াজ হোসেনকে দিয়ে জমজমাট সারের ব্যবসা শুরু করেন। এছাড়াও নতুন ভবনের দুটি কক্ষের চাবি এখনও রয়েছে তার দখলে। চেয়ারম্যান নজিরের এ স্বেচ্ছাচারিতায় পাঠদান ব্যাহত হলেও বিন্দুমাত্র টনক নড়েনি সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিন দেখা যায়, চরবোরহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দখল করে চেয়ারম্যান তার পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়াও টিনশেড একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে সারের ব্যবসা শুরু করেছেন এবং তার স্ত্রী হাঁস-মুরগি লালন-পালন করছেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জলিল জোমাদ্দার বলেন, আমরা ওই বভনটি সাব-ইউনিয়ন পরিষদ বানিয়ে পরিচালনা করছি। চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষরা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজির আহম্মেদ সরদার বলেন, আমি দখল করিনি। বিদ্যালয়ের ভবনে অফিস করেছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন এ প্রসঙ্গে বলেন, উল্লেখিত বিষয়ের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।