সন্ত্রাসী হামলায় আহত ইউএনও আইসিইউতে

প্রকাশিত: ১:০৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০

সন্ত্রাসী হামলায় আহত ইউএনও আইসিইউতে
নিউজটি শেয়ার করুন

দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তার বাবার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে ইউএনওকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

 

জানা গেছে, তার মাথার বাম পাশে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম হাত ও পা কোনো রকম সাড়া দিচ্ছে না। হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঘোড়াঘাট থানার ওসি এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ৩টার দিকে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে তাদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে দুষ্কৃতিকারীরা।

 

ওই নির্বাহী কর্মকতার নাম ওয়াহিদা খানম। আর তার বাবার নাম ওমর আলী। নওগাঁ থেকে মাঝে মাঝে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর আলী। ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তাদের তিন বছর বয়সের ছেলে শিশু সন্তান রয়েছে। হামলার সময় শিশুটি ঘুমন্ত ছিল। বর্তমানে সে ভালো আছে।

 

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম জানান, আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে এক যুবক প্রবেশ করে। প্রথমে ওই যুবক তার বাবাকে আহত করে পাশের ঘরে বাথরুমে আটকে রাখে। পরে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়িভাবে তাকেও হাতুড়ি পেটা করে পালিয়ে যায়।

 

মূলত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা জেলা প্রশাসকের। ঘটনার পর জেলা প্রশাসকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

 

এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা-ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে নির্বাহী কর্মকতার সরকারি বাসভবনের ২য় তলায় বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভেতরে প্রবেশ করে। ঘটনাস্থলের নিচে একটি মই পাওয়া গেছে।

 

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে নির্বাহী কর্মকতার বাবাকে আহত করে বাথরুমে আটকিয়ে রাখে। এরপর নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বাসভবনের নাইট গার্ডকে তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখে। কাজের মেয়েও নিচে ছিল।

 

দুষ্কৃতিকারীরা ১/২ জন থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। এটি কোনো ডাকাতি ছিল না, সম্ভবত হত্যার উদ্দেশেই এই হামলা হয়েছে বলে মনে করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ