ঢাকা ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২২
বরিশাল, নবকন্ঠ ডেস্ক :: ফরিদপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গেরদা দরগাবাড়ি জামে মসজিদের একটি কক্ষে সংরক্ষিত আছে মহানবী (সা.) এর দুষ্প্রাপ্য ও মহামূল্যবান কিছু স্মৃতিচিহ্ন।
মসজিদের উত্তর কোণে কাচের জারে রাখা আছে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র দাড়ি মোবারক, হজরত আলী (রা.)-এর গোঁফ মোবারক, হজরত ইমাম হাসান (রা.) ও হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর কানের দুপাশের দাড়ির ওপরের অংশের চুল, বড় পীর হজরত শেখ সাইয়েদ আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর গায়ের আধা বা জামা ও হজরত শাহ মাদার (রহ.)-এর ফতুয়া। এ হজরত শাহ আলী বাগদাদি (রহ.)-এর পাগড়ি, জায়নামাজ, তসবিহ (মাছের দাঁতের তৈরি) ও খানা খাওয়ার বর্তন (চন্দন কাঠের তৈরি) রয়েছে।
ইমাম হোসাইনের বংশধর হজরত শাহ আলী বাগদাদি (রহ.) ৯০০ হিজরির দিকে বাগদাদ থেকে দিল্লি হয়ে বাংলায় ইসলাম প্রচার করতে আসার সময় এই দুষ্প্রাপ্য সম্পদগুলো সঙ্গে এনেছিলেন বলে জানা যায়। এর পর থেকে পবিত্র নিদর্শনগুলো ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা দরগাবাড়ি জামে মসজিদের বিশেষ রুমে সংরক্ষিত আছে।
গেরদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষেরা কয়েক দশক ধরে গেরদার গণ্যমান্য পরিবার। গত সপ্তাহেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব, ফরিদপুরের এডিসি ও এসিল্যান্ড মসজিদ পরিদর্শনে আসেন। আমি তাদের মূল্যবান নিদর্শনগুলো পরিদর্শন করাই।’
গেরদা দরগাহবাড়ি জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সেলিম আলী বলেন, শাহ আলী বাগদাদি (রহ.) এসব জিনিস সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি এখানেই থাকতেন। নিদর্শনগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে রেখে দাওয়াতি কাজে ঢাকার মিরপুরে যান, সেখানে অবস্থান করেন। তিনি মিরপুরে ইন্তেকাল করেন। সেখানেই হজরত শাহ আলী বাগদাদি (রহ.)-এর মাজার।
সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দ আবু সালাম মো. আলম বলেন, ‘স্মৃতিচিহ্ন গুলো বছরে পাঁচবার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা, শবে মিরাজ, ফাতেহা ইয়াজদাহম ও ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসব বরকতময় জিনিস দেখতে পান।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক