ঢাকা ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২২
আমির হোসেন, ঝালকাঠি:: আজ ২৩ নভেম্বর রাজাপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে ঝালকাঠির রাজাপুর থানা সর্বপ্রথম পাক হানাদার মুক্ত করেন এই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা । বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের মধ্যে রাজাপুরের আকাশে উড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
১৪ নভেম্বর ১৯৭১ এর পর সারাদেশের ন্যায় রাজাপুরে মুক্তিযুদ্ধ আরো তীব্র হয়। দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাক বাহিনী সাধারণ নিরীহ জনগণকে ধরে এনে বধ্যভূমি সংলগ্ন থানার ঘাটে বেঁধে গুলি করে খালে ফেলে দেয়। লাশের গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে জাঙ্গালিয়া নদীর পাড়ে গর্ত করে জীবন্ত মাটি চাপা দেয় হানাদাররা।
১৯৭১ সালের ২৩ নভেম্বর ভোর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাপুর থানা আক্রমণ করলে শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে তৎকালীন থানা কমান্ডার কেরামত আলী আজদ এর নের্তৃত্বে প্রায় তিনশত মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহন করেন। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে যুদ্ধ। যুদ্ধ চলমান থাকা অবস্থায় ৯নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজান ওমর ঐ যুদ্ধে যোগদেন। এ যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ও হোচেন আলী নামে দুজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন ক্যাপ্টেন শাহজান ওমরসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা। থানার ঘাটে গুলিতে শহীদের স্মরণে সেইখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশকে ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। রাজাপুর থানা ছিল ৯ নং বরিশাল সাব সেক্টরের অধীনে। উপজেলার কানুদাসকাঠিতে সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজান ওমর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাজাপুরের কৃতি সন্তান শাহজাহান ওমরকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। এই দিনটি উপলক্ষে রাজাপুরের বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে।
nobokontho24/barishal
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক