নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে বরিশাল সদর উপজেলা কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে একটি লিখিত প্রতিবেদন কমিশনের সচিব বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুগল নিউজে (Google News) নবকন্ঠ২৪’র সকল খবর পেতে ফলো করুন
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মঙ্গলবার আমি নির্বাচন কমিশনে ঘটনাটির লিখিত প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। ঘটনার সময় যেহেতু সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ছিলেন সেহেতু তাঁদের বক্তব্যও নেওয়া হয়েছে। তবে অন্য কোনো পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়নি।’ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি জানান, ওই সময় ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় গত ১৭ অক্টোবর ভোট কেন্দ্রে বরিশাল সদরের ইউএনওর সঙ্গে সিটি মেয়র সাদিকের বাগ্বিতণ্ডার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনার একটি লিখিত প্রতিবেদন ৩ কার্যদিবসের মধ্যে চায় কমিশন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার ইউএনও মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছুও বলবো না। ডিসি স্যার বলতে পারবেন।’
ঘটনার সময় কেন্দ্রে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত থাকা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘আমি কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয় কিছু জানি না। এটা তো ভিডিওতেই দেখেছে সবাই। কি হয়েছে তা সবাই জানে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জিলা স্কুল কেন্দ্রে মেয়র সাদিকের সঙ্গে দায়িত্বরত সদর উপজেলা ইউএনওর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় মেয়র সাদিককে দেখা গেছে, ইউএনও মনিরুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘আমি কি ভেতরে ঢুকছি! স্টুপিড এর মতো কথা বলছেন কেন! কানে শোনেন না?