মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ায় কথিত ডাক্তারকে তলব

প্রকাশিত: ৮:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২

মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ায় কথিত ডাক্তারকে তলব
নিউজটি শেয়ার করুন

 

ডাক্তার না হয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ায় চিকিৎসককে আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম রোববার সকালে এ আদেশ দিয়েছেন।

 

কথিত ডাক্তার সোহেল রানা। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র আয়লায় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

 

জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর মো. মজিবর মুসুল্লী অসুস্থ হয়ে আয়লা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। ওই ডাক্তার কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে ফেবুলা ফ্রাকচার লিখে দেন। সেই কথিত সার্টিফিকেট নিয়ে মজিবর মুসুল্লী বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ জানুয়ারি মো. ইব্রাহীমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

এছাড়া ৯ জানুয়ারি মোসা. ঝর্ণা নামের অপর এক রোগীকে কথিত ডাক্তার জখমি সার্টিফিকেট প্রদান করে। সেই কথিত সার্টিফিকেট দিয়ে মজিবর মুসুল্লীর বাবার বিরুদ্ধে জরিনা নামের এক নারী বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করেন।

 

আদালত ৫ জানুয়ারি বরগুনা সিভিল সার্জনকে মেডিকেল সার্টিফিকেট সংক্রান্ত তথ্য চানতে চেয়ে আদেশ দেন। সিভিল সার্জন আদালতকে জানান, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের কোনো সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আদালত এস্কান্দার আলীসহ ৫ জন আসামিকে তলব করেন।

 

এস্কান্দার রোববার সকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। আদালত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে ওই তথাকথিত ডাক্তারকে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন।

 

এস্কান্দার বলেন, আমার ছেলে জাকারিয়াকে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ২৬ জানুয়ারি তার বাড়ি গাবতলীতে নিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমি মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করলে মজিবর মুসুল্লীকে দিয়ে ওই সোহেল রানাকে বাধ্য করে মোশাররফের আপন ভাগিনা মনিরকে দিয়ে সোহেল রানাকে ম্যানেজ করে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন। মোশাররফ চেয়ারম্যানের ভাগিনা মনির আয়লা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পিয়ন পদে চাকরি করেন। সেই কারণে সোহেল রানা বারবার মিথ্যা সার্টিফিকেট দেয়।

 

কথিত ডাক্তার সোহেল রানা বলেন, আমি চার বছরের ডিপ্লোমা ডিগ্রি গ্রহণ করেছি। আমি কোনো সার্টিফিকেট দিতে পারি না। রোগী পেলে বরগুনা পাঠাই।

 

ডাক্তার লিখতে পারেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাক্তার লেখা যায়। যারা এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার তারা এবং আমরা লেখতে পারি।

 

বরগুনার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কোনো ক্রমেই ডাক্তার লিখতে পারেন না ও কোনো সার্টিফিকেট দিতে পারেন না। সোহেল রানা যদি কোনো সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন সেটা তিনি ভুল করেছেন।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ