৩ বছরেও শেষ হয়নি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের কাজ। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। উপজেলার বাজিতা গ্রামের মোল্লা বাড়ির সামনে চাপরখালী খালের ওপর নির্মাণাধীন এ ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে জনসাধারণের যাতায়াত।
জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বরিশাল বিভাগের দক্ষিণ অঞ্চল আয়রন ব্রিজের আওতায় মির্জাগঞ্জে ১৭টি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে পটুয়াখালী এলজিইডি। এতে ওই ব্রিজের কাজ পান বরগুনার বেতাগীর মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ। বাকি ১৬টি ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখন অবহেলায় পড়ে রয়েছে ব্রিজটি। কাজ শেষ না করলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ম্যানেজ করে ৩৯ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে ঠিকাদার।
স্থানীয় মো. ইউনুচ মোল্লা, ইউসুফ মোল্লা বলেন, ব্রিজটির নির্মাণের শুরুতেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে। পাইল ৮০ ফুটের পরিবর্তে ২০ ফুট বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও ঢালাইয়ে পুরাতন ব্রিজের ইট সুরকি ব্যবহার করেছে। এরপর এই ৩ বছর পড়ে আছে। এতে আমাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে
পানির অভাবে কৃষি কাজ করতে পারছি না। মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, কাজটি বাতিল করে দিলেই খুশি হবো। কাজ তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন বলেন, ব্রিজটি তদারকিতে ছিলেন উপ-সহকারী আবদুল জলিল। তার অবসরের পর আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কী কারণে কাজ শেষ হয়নি বলতে পারি না। পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি দেখছি।