ঢাকা ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২০
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নুরজাহান বেগম (৫৭) নামে এক নারীকে পাঁচ টুকরো করে হত্যার ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। নিহত নারীর ছেলে মামলার বাদী হুমায়ুনই তার সাত সহযোগীকে নিয়ে মাকে হত্যার পর লাশের টুকরো ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় মামলা করেন মৃত নূরজাহানের ছেলে ঘাতক হুমায়ুন কবির। সেই মামলার সূত্র ধরে নোয়াখালী জেলা পুলিশ তদন্তে নেমে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সন্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় আমরা সাত আসামির মধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছি। এর মধ্যে দুজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রধান আসামি মৃত নূরজাহানের ছেলে ও মামলার বাদী হুমায়ুন কবিরকে স্বীকারোক্তির জন্য আজ আদালতে তোলা হবে।
হত্যার বিষয়ে তিনি আরও জানান, হুমায়ুনের ভাই বেলাল মারা যাওয়ার সময় চার লাখ টাকা ঋণ রেখে যান। ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য হুমায়ুনকে চাপ দিলে তিনি তার মাকে বলেন। কিন্তু তার মা ওই ঋণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি চাপ সহ্য করতে না পেরে মাকে হত্যা করেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর সুবর্ণচরে ধানক্ষেত থেকে নূরজাহান বেগম (৪২) নামে ওই নারীর পাঁচ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নুরজাহান বেগম উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল বারেকের স্ত্রী। তিনি আট ছেলে ও এক মেয়েসহ ৯ সন্তানের জননী।
এর আগে ছেলে হুমায়ন কবির জানিয়েছিল, ওইদিন ভোর থেকে তার মা নিখোঁজ ছিল। পরে স্থানীয় এক নারী বিকালে ধানক্ষেতের আইলে শামুক খুঁজতে এসে একটি টুকরো টুকরো মরদেহ দেখতে পায়। পরে সে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মায়ের মরদেহ শনাক্ত করে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক