ঢাকা ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২২
বরিশাল, নবকন্ঠ ডেস্ক:: বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ মামলাসহ নানা জটিলতার কারণে বন্ধ রয়েছে। এতে পর্যটকসহ স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কলাপাড়া উপজেলার পাখিমাড়া বাজার থেকে মহিপুর পর্যন্ত সড়কটিতে বহু খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে ওই অংশটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন কুয়াকাটায় ভ্রমন পিপাসু পর্যটক ও স্থানীয় জনগণ।
এ সড়কে সব চেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে মোটরসাইকেল এবং তিন চাকার যানবাহন। বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্ত থাকায় এসব যানবাহনকে গর্ত এড়িয়ে চলতে হয়। মাঝে মঝে যাত্রীসহ অটোরিকশা উল্টে যায়।
পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মৃধা জানান, পাখিমাড়া থেকে মহিপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘ দিন ধরে রুটিন মেরামতে বিটুমিন ও ইট-পাথরের খোয়া পট্টি দিয়ে চলাচলের উপযোগী রাখার কারণে পুরো রাস্তা দেবে গিয়ে উঁচু নিচু হয়ে আছে। এপথে চলতে গিয়ে গাড়ির যাত্রীদের প্রচন্ড ঝাঁকুনি সহ্য করতে হয় যা পর্যটকদের।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে কলাপাড়া পৌর শহর থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সওজ কর্তৃপক্ষ। ২২ কিলোমিটার সড়কের ১১ কিলোমিটার অংশের নির্মাণকাজ করে দি রুপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের কাজের কারনে বিল নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। আর তা পৌঁছায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। মামলাটি এখনও হাইকোর্টে চলমান রয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে সওজ কর্তৃপক্ষ নতুন করে সড়কটির নির্মাণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান, সমস্যা সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। দ্রুত ঠিকাদার ও অধিদপ্তরের মধ্যে বিরোধ আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি হবে বলে মনে করি।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক