বরগুনা

মাইক নিয়ে নিজেই প্রচার চালাচ্ছে মেয়র প্রার্থী

By admin

January 24, 2021

 

বরগুনা : সাহবুদ্দিন সওদাগর, একজন লরি চালক। বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে লড়ছেন মেয়র পদে।

 

আইনি জটিলতায় প্রার্থিতা আটকে গিয়েছিলো তার। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে মেয়র প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন সাহবুদ্দিন সওদাগর। এখন মাইক হাতে অটোরিকশায় চেপে নিজেই প্রচারণায় নেমেছেন তিনি। নিজের পোস্টার নিজেই লাগিয়ে গণসংযোগও চালাচ্ছেন।

 

আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিদ্রোহীসহ অন্য মেয়র প্রার্থীরা যখন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জমজমাট প্রচারণায় ব্যস্ত তখন একজন মেয়র প্রার্থীর ভিন্ন প্রচারণা দেখে ভোটারদের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।

 

আগামী ৩০ জানুয়ারি বরগুনা পৌরসভা নির্বাচন, এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সাহবুদ্দিন সওদাগর।

 

এর আগে নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের প্রত্যেকে ১০০ জন ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজ জমা দিতে হয়। ওই তালিকা থেকে পাঁচজনের স্বাক্ষর তদন্ত করেন নির্বাচন অফিসার। তদন্তে তিনটি করে স্বাক্ষরের মিল না পাওয়ায় গত ৩ জানুয়ারি তাদের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

 

মনোনয়ন বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা প্রশাসকের নিকট আপিল করলে তিনি মনোনয়ন পত্র বাতিল বহাল রাখেন। পরে সাহবুদ্দিন সওদাগরসহ তিনজন মেয়র প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হোসাইন এবং বিচারপতি মো: খায়রুল আলম সমন্বয় বেঞ্চ ১৯ জানুয়ারি তিনজনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন।

 

শনিবার (২৩ জানুয়ারী) বিকালে অটোরিকশায় করে টাউন হল এলাকায় মাইকে প্রচার চালান প্রার্থী সাহবুদ্দিন সওদাগর। দেখা গেছে, তিনি নিজেই মাইকিং করছেন। নানাভাবে আকুতি জানিয়ে ভোটারদের ভোটও প্রার্থনা করেন।

 

এ সময় তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি পরিবর্তনের জন্য মাঠে নেমেছি। আমি একজন শ্রমিক তাই সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝি। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করবো। আমার প্রার্থিতা পেতে হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছে। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। সুন্দর নগরী গড়তে আমি বদ্ধপরিকর।

 

সাহবুদ্দিন সওদাগর জানান, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

 

রিটানিং কর্মকতা দীলিপ কুমার বলেন, হাইকোর্টের আদেশে তার প্রার্থিতা তিনি ফিরে পেয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা অনেক ভালো। এই প্রার্থীসহ মোট নয় জন মেয়র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারি বরগুনা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় ২৬ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।