ভোলার মনপুরায় বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে ওই যুবতীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ।
এর আগে রোববার দুপুর ২ টায় ওই যুবতী নিজে বাদী হয়ে মনপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। পরে ওই দিন বিকেল ৪ টায় যুবতীকে ধর্ষণের মামলায় পুলিশ হাজীরহাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামের নিজ বাড়ীতে ওই যুবককে আটক করে।
শনিবার রাত ৮ টায় হাজীরহাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামে ওই যুবতীর বাড়ির পাশে বাঁশঝাঁড়েরর বাগানে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আটককৃত যুবক হলেন, উপজেলা হাজীরহাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইউনুচের ছেলে মোঃ ফিরোজ (২৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সর্ম্পক গড়ে বিয়ের প্রলোভনে শনিবার রাত ৮ টায় ওই যুবতীকে বাড়ির পাশের বাঁশঝাঁড়ে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে আটককৃত যুবক মো. ফিরোজ। এই ঘটনায় ওই যুবতী রোববার সকালে থানায় মামলা করে। পরে ওই দিন বিকেলে পুলিশ ওই যুবককে হাজীরহাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামের নিজ বাড়ীতে থেকে গ্রেফতার করে। সোমবার সকালে ধর্ষণের শিকার ওই যুবতীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে সোমবার আটককৃত যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস.আই) শ্রীকান্ত।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার ওই যুবতীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।