লিড নিউজ

‘মদের লোভে’ এসে খোকন-মিজানের ফাঁদে পড়ে মাছ!

By admin

November 19, 2022

 

বরিশাল, নবকন্ঠ ডেস্ক :: মদপান করে শুধু মানুষই নয়, মাছও মাতাল হয়! নেশার ঘোরে টপাটপ গিলে টোপ। ধরা পড়ে বড়শিতে। তা বুঝতে পেরে মাছকে মাতাল করে ফায়দা লুটছেন মৎস্য শিকারিরা। মাছ ধরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো চার। সেই চার বানাতে প্রয়োজন হয় মদের।

 

 

মদ দিয়ে এভাবেই মাছের চার বানান বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বনানী এলাকার ইব্রাহিম হোসেন খোকন ও মিজানুর রহমান মিজান। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা মেলে এ চিত্রের।

 

গুগল নিউজে (Google News) নবকন্ঠ২৪’র সকল খবর পেতে ফলো করুন

 

খোকনের বাড়ি বনানী এলাকায়। আর মিজান শাজাহানপুর উপজেলার দক্ষিণ বেজোড়া গ্রামে থাকছেন। নিজেরা না খেলেও নিয়মিত মদ কেনেন এ দুই ব্যবসায়ী। মাছ নাকি মদ পান করতে খুব পছন্দ করেন।

 

 

খোকন ও মিজান বলেন, চারের কাজ হলো কোনো নির্দিষ্ট স্থানে মাছকে আকর্ষিত করে নিয়ে আসা। একই সঙ্গে সুস্বাদু বা রুচিকর খাবারের মাধ্যমে ওই স্থানে মাছগুলোকে ধরে রাখা। এজন্য চার বানাতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়। তবে মাছ ভেদে চারের ধরনও কিছুটা আলাদা হয়।

 

 

তারা বলেন, চার বানাতে অ্যালকোহল বা মদ ব্যবহার করা হলে মাছ নির্দিষ্ট স্থান থেকে আর যেতে পারে না। তারা খাবারের লোভে নদী বা পুকুরে চার ফেলানোর সীমানায় এসে মদের স্বাদে আটকে যায়। তারা চারের সঙ্গে মেশানো মদ খেয়ে অন্যদিকে আর যেতে পারে না। এসব মাছ মাতাল হয়ে যায়। ফলে সেখানে থাকা বড়শির টোপ সহজেই গিলে ফেলে তারা। এতে অনেক মাছ শিকার করা হয়। মদ মিশ্রিত চার খুব পছন্দ করে মাছ।

 

 

দীর্ঘ বছর ধরে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করে আসছেন ওই দুইজন। বগুড়াসহ এর আশপাশের জেলায় টিকিট কেটে মাছ ধরতে যান তারা। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ বেজোড়া গ্রামের একটি পুকুরে মাছ ধরার জন্য টিকিট কেটেছেন খোকন ও মিজান। সেখানেও মাছ শিকারের জন্য চার বানাচ্ছেন তারা।