মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। পরে ধর্ষণের স্বীকার প্রবাসীর স্ত্রী জাতীয় কল সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এঘটনায় ধর্ষিত ওই প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে বুধবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় ৭জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার বকসির ঘটিচোরা গ্রামের নজরুল মাস্টারের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৯), উত্তর মিঠাখালী গ্রামের সোহরাব ফরাজীর ছেলে ইলিয়াস ফরাজী (২৭) ও একই গ্রামের জাকির হোসেন তালুকদারের ছেলে রাজু তালুকদার (১৮)।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ধর্ষিত ওই প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানসহ শহরের বহেরাতলা এলাকার আরামবাগে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। মঙ্গলবার বিকেলে কে এম লতিফ সুপার মার্কেটের গ্রাফিক্স পয়েন্ট থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে সন্তান ও বোনের মেয়েকে নিয়ে একটি অটোরিক্সায় বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। কিন্তু অটো চালক ওই প্রবাসীর গন্তব্য স্থানে না নামিয়ে আসামীদের যোগসাজসে মঠবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন জনৈক মামুনের বাড়ির সামনে গাড়ি থামায়। পরে সেখান থেকে আসামীরা ধর্ষিত ওই গৃহবধূর মুখ চেপে মামুনের বাসার বারান্দায় নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় প্রবাসীর স্ত্রী ডাকচিৎকার দিলে বখাটেরা উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড বক্সে গান বাজায় এবং ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করে। পরে বখাটেরা চলে গেলে প্রবাসীর স্ত্রী ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।